জৈন্তাপুর পরকিয়া প্রেমের বলী কন্যা সন্তানের জনক জামাল

    0
    242

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১০আগস্ট,রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর প্রতিনিধি: সিলেটের জৈন্তাপুর নিখোঁজ জামাল হোসেন (২৮) এর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে,এতে প্রেমিকাসহ ৪ জন পুলিশের খাঁচায় বন্দি। দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবীতে শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিবাদ সমাবেশ।
    পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- গত ৫আগষ্ট জৈন্তাপুর উপজেলার বিরাইমারা(গড়েরপাড়) গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার ছেলে ১সন্তানের জনক জামাল হোসেন(২৮) নিখোঁজ হন। ৮আগষ্ট মঙ্গলবার ১১টায় কলসী নদীতে হাত-পায়ে পাথর বাঁধা অবস্থায় জামালের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

    এ ঘটনায় তাৎক্ষনীক ভাবে পুলিশ ৪জনকে আটক করে। তারা হলেন জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তাপুর ইউনিয়নের কেন্দ্রি ঝিঙ্গাবাড়ী গ্রামের ময়নুল ইসলামের স্ত্রী আমেনা বেগম(২২), একই পরিবারের সিরাজ উদ্দিন মিস্ত্রির ছেলে আয়নুল ইসলাম(৩০), জয়নুল ইসলাম(২৪), একই গ্রামের কলিম উদ্দিন বট্টি মিয়ার ছেলে মনির হোসেন(২২)।
    এলাকাবাসি জানান- আমেনা বেগম নিহত জামালের নিকট আত্মীয় হওয়ায় দীর্ঘ দিন হতে তাদের মধ্যে প্রেম চলে আসছে। একপর্যায় জামাল এবং আমেনার পৃথক পৃথক স্থানে বিয়ে হয়। বর্তমানে জামাল হোসেন ১বৎসরের ১কন্যা সন্তানের জনক। প্রেম মানে না কোন বাঁধা তাই আমেনার সাথে থেকেই যায় জামালের সু-সম্পর্ক। এনিয়ে প্রায়ই একে অপরের সাথে যোগাযোগ অব্যাহৃত রাখে। একপর্যায় আমেনার স্বামীর পরিবার পরকিয়া সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যায়। তারা সম্পর্ক ছিন্ন করতে আমেনাকে নিয়ে হত্যা পরিকল্পনার নীল নকশা তৈরী করে। সে অনুযায়ী ৫ আগষ্ট শুক্রবার আমেনার মাধ্যমে জামালকে কেন্দ্রি গ্রামে নিয়ে তাকে শারিরিক ভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে নরপশুরা। শুধু হত্যা করে ক্লান্ত হয়নি নরপশুরা তারা নিহত জামালের অন্ডকোষ এবং একটি চোঁখ নষ্ট করে দেয়। লাশ গুম করতে হাত-পায়ে পাথর বেঁধে কলসী নদীতে ফেলে দেয় আমেনার শশুরবাড়ীর লোকজন। পুলিশ ও জামালের আত্মীয়-স্বজন অনেক খোঁজাখুজির পর জামালকে পাওয়া যায়নি।

    অবশেষে তার মৃতদেহটি পরকিয়া প্রেমিকার শশুর বাড়ীর সন্নিকটে কলসী নদীতে ভেসে উঠে। ফলে সন্দেহের ধানা বাঁধে আমেনার শশুরের পরিবারের প্রতি তাৎক্ষনিক ভাবে পুলিশ প্রেমিকা আমেনা ও তার ২ দেবর ও তাদের ১সহযোগীকে আটক করে।
    এদিকে নিহত জামাল হোসেন বৃহত্তর জৈন্তা পাথর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের ৫নং ইউনিটের সদস্য হওয়ায় ঘটনার সুষ্ট বিচারের দাবীতে বিকাল ৪টায় জৈন্তাপুর ঐতিহ্যবাহী বটতলায় প্রতিবাদ সমাবেশ করে। প্রতিবাদ হতে দাবী জানানো হয় অভিলম্বে এঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের মাধ্যমে ফাঁসির দাবী জানানো হয়।
    এবিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ ময়নুল জাকির আটকের সত্যতা স্বীকার করে বলেন- নিহতের পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে (যাহার নং ০২, তারিখ ০৯-০৮-২০১৭)। আটককৃতদের নিকট হতে প্রাথমিক ভাবে ঘটনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করেছি। তদন্তের স্বাথে তাৎক্ষনিক ভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটনের জন্য আদালতের মাধ্যমে আটককৃতদের রিমান্ড চাওয়া হবে। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত রহস্য প্রকাশ কারা হবে।

    এদিকে আটককৃতদের বিকাল ৩টায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান।