জৈন্তাপুরে ৩শত সেট সরকারি বই উদ্ধার অতঃপর রফাদফা

    0
    255

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০২জানুয়ারী,রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধিঃ আজ মঙ্গলবার ২জানুয়ারী মঙ্গলবার সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের বনপাড়া এলাকার আমতলা আইডিয়াল বে-সরকারি স্কুল হতে জৈন্তাপুর প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে পাঁচার হওয়া (১ম শ্রেনী হতে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত) ৩শত সেট বই জনতা আটক করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানায়। সংবাদ পেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জলিল তালুকদার সরেজমিনে আমতলা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ২০১৮ সনের বই গুলো উদ্ধার করে বলে জানায় এলাকাবাসী। এদিকে অজ্ঞাত কারনে বনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বসে আমতলা আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষকের আবু সাঈদের সাথে রফাদফার মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে আসেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এলাকাবাসী আরো জানায় শিক্ষার্থীরা বই পাবে এটা আমরা চাই, তবে নিয়ম অমান্য করে সরকারি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগ সাজেসে অনুমোদন বিহীন তালিকা ভূক্ত নয় এমন বিদ্যালয় এবং ১শত ছাত্র নেই একটি বিদ্যালয়ে ৩শত সেট বই পাওয়া যায় এমন ঘটনা উপজেলায় এই প্রথম। মুলত বই গুলো অন্যত্র বিক্রয়ের উদ্দ্যেশ্যে আমতলা আইডিয়াল স্কুলে সারানো হয়েছে বলে এলাকাবাসীর দাবী।
    এ বিষয়ে জানতে আমতলা আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষকের আবু সাঈদ এর মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে বিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী বনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান টিও ও এটিও স্যার ঘটনাস্থলে এসেছেন এবং আমার বিদ্যালয়ে বসে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিনের সাথে আলোচনা হয়েছে। তবে কি আলোচনা হয়েছে আমার জানা নেই।
    অন্যদিকে জৈন্তাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জলিল এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ কারা হলে তিনি পরে জানাবেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনরি এবং অফিসে গেলেও তাহাকে পাওয়া যায়নি। তবে অফিস সহকারি শিশাকর ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন শুনছি বই পাওয়া গেছে। আমাদের উপজেলা হতে কোন বই পাঁচার হয়নি।
    এবিষয়ে জানতে চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- সাঈদ সাহেব একটি ভাল উদ্যোগ নিয়েছেন, কি কারনে এমন ঘটনা ঘটল এ জন্য উনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌরীন করিম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না কিংবা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমাকে কিছু জানায়নি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
    এবিষয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বশির উদ্দিন জানান- বিষয়টি আমাকে কেউ অবহিত করেনি। সভাপতি হিসাবে বিষয়টি আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি। এ ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে সরকারি বই আত্মসাথের অভিযোগ দায়ে আইনের কাছে সপোর্দ করা হবে।