রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধিঃ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক সিলেট বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারীরা বিগত ২৫/২৬বৎসর পূর্ব আন রেজিষ্ট্রারী ইস্তেফা মূলে রেকর্ডীয় মালিক আজমান আলীর ছেলে সালাম মিয়া গংদের নিকট হতে খরিদক্রমে উপজেলার আসামপাড়া মৌজার ৪নং জেল স্থীত ১৮নং এ.এ খতিয়ানের ১০/১ বি,এস খতিয়ানের ১৫১নং দাগের ৩.৪৩ শতক ভূমিতে অভিযোগকারী আসামপাড়া নয়াবস্তি গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে বাবুল মিয়া, রহমান মেইকারের ছেলে দুলাল মিয়া, মুতলিব মিয়ার ছেলে আলী আহমদ, মৃত ছাইদ মিয়ার ছেলে সুলেমান আহমদ, মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে দুলাল মিয়া, মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে আব্দুস শুকুর মৃত কুটি মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া ভোগদখল করে বসতবাড়ী নির্মাণ করে ফসলাদী ফলাইয়া ও গাছ গাছালী লাগাইয়া বসবাস করিয়া আসিতেছে। আমাদের জমি বিক্রেতাগন বিদেশে চলিয়া যান এবং সেখানে মৃত্যু বরন করার কারনে জমি রেজিষ্ট্রারী করিয়া দিতে পারেন নাই।
এই সুযোগে তাদের নালিশা ভূমি হইতে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে কেন্দ্রি গ্রামের বাসিন্ধা পরধন লোভী প্রতারক ও জালিয়াত চক্রের সদস্য আবুল কালাম আজাদ আবেদনকারীদের ক্ষতিগ্রস্থ করার লক্ষ্যে জাল দলিল সৃষ্টি করিয়া মাননীয় অতিরিক্ত জেলা হাকিম আদালত সিলেটে বিবিধ মামলা ১৪/১৮ইংরেজী তারিখে ১৪৪ ধারা মোতাবেক একটি মামলা দায়ের করে।
মাননীয় আদালত সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সহকারি কমিশনার(ভূমি) জৈন্তাপুরকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ভূমি অফিস সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্বভার অর্পণ করে। ঐ সুযোগে সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম ভূক্তভোগিদের নিকট ৩০হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন। তাতে অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আবুল কালামের যোগসাজেসে মিথ্যা ভাবে ৪ বার ৪ রকমের প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এদিকে আবুল কালাম আজাদ ২বার ২টি নামজারি মোকাদ্দমা দাখিল করিলে স্থানীয় তহশীলদার তদন্তে করে আবুল কালামের দখল নাই মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করিলে সহকারি কমিশনার (ভূমি) জৈন্তাপুর সিলেট নথিজাত করে। তারপরও সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলামের কুপরামর্শে নানা ফন্দি ফিকির অবলম্বন করে আসছে।
ইতোপূর্বে সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আবেদনকারীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের করার কারনে সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম তার তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগকারীদের ২৫ হতে ৩০টি বসতবাড়ীর পরিবর্তে ৩টি ঘর উল্লেখ করে সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্হিীন বানোয়াট প্রতিবেদন দাখিল করে যাহার স্মারক নং-৫০১, তারিখ ২৩-০৫-২০১৮ইং, স্মারক নং-৭৭৮, তারিখ ০৭-০৮-২০১৯, স্মারক নং-২৮৯, তারিখ ২৫-০৩-২০১৯।
সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম ৪টি রিপোর্ট ৪ ভাবে দাখিল করে। একটি রিপোর্ট অন্য রির্পোটের সাথে কোন মিল নাই। আবুল কালামের সাথে যোগসাজেসে সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম মিথ্যা রির্পোট দাখিল করে আসিতেছে।
আবেদনকারীদের দাবী জেলা প্রশাসকের নিকট সরেজমিন তদন্ত পূর্বক এবং সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন এবং ভূক্তভোগিদের হয়রানী বন্ধ করার জন্য লিখিত অভিযোগ করেন। তারা আশাবাদি জেলা প্রশাসক মহোদয় নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য প্রকাশিত হবে।
এবিষয়ে সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলামে সাথে একাধিক বার ফোন যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।