জৈন্তাপুরে সাজোনো মামলায় মুখলিছ কারাগারে,পুনঃ তদন্তের দাবী

    0
    230

    জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধিঃ  জৈন্তাপুরে সাজানো হয়রানী মূলক মামলায় ৫১পিছ ইয়াবা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার নিকট আত্মীয় মুখলিছুর রহমান উরফে মীরকে ফাঁসিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ এবং মামলার পূর্ণ তদন্ত দাবী করে পুলিশ সুপার বরাবরে ভোক্তভোগীর স্ত্রী রোকেয়া বেগমের।
    আবেদন সূত্রে জানাযায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এবং আমার নিকট আত্মীয় মাথিউরা গ্রামের প্রবাসী আলতাফ হোসেন বাদলের অবৈধ সম্পর্ক তৈরীতে বাঁধা দেওয়ার কারনে সে উচিৎ শিক্ষা দিবে মর্মে হুমকী দেয়। এরই প্রেক্ষিতে পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে আলতাফ হোসেন বাদলের প্রেমিকা জেসমিনের ছোট ভাই জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের বাউরবাগ দক্ষিণ বনপাড়া গ্রামের বাবুল আহমদের ছেলে আল-আমিন গত ২ অক্টোবর শুক্রবার রাত ১০টায় আমার বাড়ীতে আসে তখন আমার স্বামী বাড়ীতে ছিলেন না। আমার স্বামীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে আত্মীয়তার দরুন বাড়ীতে অবস্থান করে। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক মাদক দ্রব্য (ইয়াবা) শয়ন কক্ষের বিছানার বালিশের নিচে রাখে আল-আমিন। আমার স্বামী ঘরে আসার পর পর সে কোন প্রকার আলাপ আলোচনা না করে বাহির হইয়া যায় এবং তার ১০/১৫ মিনেটের মধ্যে জৈন্তাপুর মডেল থানার এস. আই প্রদীপ ও এ.এস.আই হরিধন এর নেতৃত্বে পুলিশ আমাদের বাড়ীটি ঘিরে ফেলে এবং ঘরে প্রবেশ করে। বসত ঘরের অন্য কোন স্থান তল্লাসী না করে একমাত্র আমাদের শয়ন কক্ষের বালিশ উত্তোলন করে বিছানার নিচ হতে ঔষধের মত কিছু ট্যাবলেট বাহির করে বলেন মাদক দব্য পাওয়া গেছে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় এলাকার মুরব্বীসহ এলাকাবাসী ইউপি সদস্য বিভিন্ন ভাবে অনুরোধ করার পরও তাদের কথার কর্ণপাত না করে পুলিশ আমার স্বামী মখলিছুর রহমান উরফে মীরকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ২০১৮ সনের ৩৬ (১) এর ১০ (ক) ধারায় মামলা রুজু করে (যাহার মামলা নং-০২/২০৮, তারিখঃ ০২/১০/২০২০) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। অপরদিকে পুলিশের হাতে আটকের সংবাদ মুখলিছুর রহমান উরফে মীরকে পেয়ে চারিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল, ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য নূরুল আমীন, এলাকার গণ্যমান্যরা ব্যক্তিবর্গ সহ মামলার স্বাক্ষীগন এবং উপস্থিত হয়ে বিষয়টি অফিসার ইনচার্জ মহসিন আলীকে জানালেও সাজানো মামলায় তার স্বামীকে হাজতে পাঠানো হয়। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৫ইউপি সদস্য লিখিত ভাবে প্রত্যায়ন করেন মুখলিছুর রহমান উরফে মীর একজন দিন মজুর হয়। অন্যের কাজকর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। সেকোন সমাজ বিরুদী কর্মকান্ড, মাদক, অসামাজিকতা কিংবা রাষ্ট্র বিরুদী কার্যকলাপে লিপ্ত নহে। তাকে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে একটি পূর্ব-পরিকল্পিত মামলায় জাড়ানো হয়েছে। তারা তার দ্রুত মুক্তির দাবী জানান এবং প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বের করার আহবান জানান।
    ভোক্তভোগীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম দাবী পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এবং অবৈধ সম্পর্কে বাধাঁ দেওয়ার কারনে আলতাফ হোসেন বাদলের শলাপরামর্শে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ছদ্ধবেশী জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের বাউরবাগ দক্ষিণ বনপাড়া গ্রামের বাবুল আহমদের ছেলে আল-আমিন মাদক দ্রব্য (ইয়াবা) রেখে পুলিশ ব্যবহার করে আমার স্বামীকে গ্রেফতার করায়। বর্তমানে সে বিভিন্ন ভাবে এলাকাবাসী সহ আমাদের নানা ভাবে হুমকী ধমকী দিয়ে আসছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলে আল-আমিন আরও ইয়াবা রেখে পুরো পরিবারকে জেল খাটিয়ে ছাড়বে এমনটি আমার মেয়েকে অপহরন করে ভারতে পাচার করবে। উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি তদন্তপুর্বক আল-আমিনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার প্রকৃত রহস্যবের হবে।
    এবিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান শাহ-আলম চৌধুরী তোফায়েল প্রতিবেদককে বলেন, এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো নাটক, বিষয়টি নিয়ে আজ ০৮ অক্টোবর সরেজমিনে তদন্তে আসেন জৈন্তাপুর-কানাইঘাট এর সার্কেল এসপি আব্দুল করিম। আমার উপস্থিতিতে এলাকার আপমর জনতা বলেছেন পুলিশকে প্রভাবিত করে ইয়াবা রেখে পুলিশকে দিয়ে নাটক সাজিয়ে নিরিহ শ্রমিককে মুখলিছুর রহমান উরফে মীর ফাঁসানো হয়েছে। অভিলম্বে প্রকৃত অপরাধীকে আটক এবং মীরকে মুক্তির দাবী জানান।