জৈন্তাপুরে ভুমি খেকু কর্তৃক নদী ও সরকারী রাস্তা দখল

    0
    315

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৭জানুয়ারী,রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুরঃ   সিলেটের জৈন্তাপুর ভুমি খেকু কর্তৃক গ্রামীন রাস্তা দখল এবং নয়াগং নদীর প্রায় ৯৯ শতাংশ ভুমি দখল করে গার্ড ওয়াল নির্মাণ পূর্বক  পাথর ড্রাম্পিং ইয়ার্ড তৈরী করে দোকান গৃহ নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    সরেজমিন ঘুরে দেখাযায়- জৈন্তাপুর উপজেলার ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের মুক্তাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে নূরুল আমিন গং জৈন্তাপুর উপজেলার ১৬নং জেল স্থিত ঘিলাতৈল মৌজার এস.এ ১নং খতিয়ানের ৮৮নং দাগে ১৭.৩৬ একর ভুমি নদী শ্রেনী হিসাবে সরকারের নামে রেকর্ড ভুক্ত সরকারী খাঁস ভুমি (নয়াগাং নদীর) প্রায় ৯৯ শতাংশ জায়গায় গার্ড ওয়াল নির্মাণ করে দখল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নদীর পাড় সংলগ্ন একটি গ্রামীন রাস্তাও তিনি দখল করে পাথর ডাম্পিং ইয়ার্ড তৈরী করেছেন। অবৈধ ভাবে গ্রামীণ রাস্তা ও নয়াগাং নদীর তীর দখল করার কারনে নদীর দক্ষিন পাড়ের বাসিন্ধাদের ফসলী জমি, বসত বাড়ী-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হবে মমে ঘিলাতৈল গ্রামের মৃত নিছার আলীর ছেলে মোঃ নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে গত ২০ ডিসেম্বর লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। যাহার ডকেট নং-৯৮৪, তারিখ ২৭-১২-২০১৭। উপজেলার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নুরুল আমিনের প্রভাবের কারেন কোন প্রতিকার ব্যবস্থা গ্রহন করছে না বলে এলাকাবাসীর দাবী।

    অপরদিকে নুরুল আমিন ও তার ছেলে মাসুক আহমদ বিরুদ্ধে এলাকার সাধারণ মানুষ নির্যাতন, নিপিড়ন সহ মানুষেকে হয়রানীর অভিযোগ তুলে ধরেন। ইতোমধ্যে নুরুল আমিন গংদের এহেন কার্যকলাপে অতিষ্ট হয়ে পাশ্ববর্তী ৪টি পরিবার ভিটা মাটি বিক্রয় করে অন্যত্র চলে যেতে হয়েছে। এছাড়া নুরুল আমিন অবৈধ পন্থায় সাধারণ লোকদের অর্থের লোভে ফেলে পরিবেশ আইন অমান্য করে উপজেলা বিভিন্ন স্থানে পাহাড় কর্তন করে লাল পাথর উত্তোলন করে অবৈধ টাকার পাহাড় তৈরী করেছে এর ধারাবাহিকতায় সে এবার সরকারী নদীর ভূমি প্রতি তার লেলুপ দৃষ্টি পড়ে। এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ টাকার কারনে একের পর এক অপকর্ম নির্যাতন করে চললে স্থানীয় এলাকাবাসী ভয়ে কিছু বলেন পারছেন না।

    নদী দখলের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ জানুয়ারী মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় দৈনিক সবুজ সিলেট পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি রেজওয়ান করিম সাব্বির, দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার প্রতিনিধি আবুল হোসেন মোঃ হানিফ এবং দৈনিক শ্যামল সিলেট পত্রিকার প্রতিনিধি শেয়েব উদ্দিন সরেজমিনে নদী দখল এবং গ্রামীন রাস্তা দখলের স্বচিত্র সংগ্রহ করেতে গেলে ভুমি খোকু, পাথর খেকু, দখলবাজ, সাধারণ মানুষ নির্যাতনকারী নুরুল আমিনের ছেলে মাসুক আহমদ তার বাহিনী নিয়ে ছবি তুলে বাঁধ সৃষ্টি করে এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। ছবি উত্তোলনের কারনে অশ্লিল ভাষায় গালী-গালাজ করে। এছাড়া সে বলে তোমারা আমার কিছুই করতে পারবেনা আমি টাকার বিনিময়ে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন কিনে রেখেছি। আমি ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে যত পার নিউজ কর আমাদের কিছুই হবে না। উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন আমাদের কথায় উঠে বসে।

    এবিষয়ে জানতে নুরুল আমিনের সাথে কথা বলতে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সে ফোন রিসিভ করেনি।

    এবিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌরীন করিম জানান- আমি গ্রামবাসীর পক্ষে অভিযোগ পাওয়ার পর পর ভূমি অফিস জৈন্তাপুরকে সরজমিন তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছি। প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।