জৈন্তাপুরে ব্যতিক্রমধর্মী জন্মবার্ষিকী পালন

    0
    295

    রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধিঃ  শাহজালাল-শাহপরানের পূণ্যভূমি সিলেটে এসে নিজ শিশু কন্যার ব্যতিক্রমধর্মী ১ম জন্মবার্ষিকী পালন করলেন জৈন্তাপুর মডেল থানার সদ্য বিদায়ী অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ মাইনূল জাকির। জাকিরের ব্যতিক্রমী আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছে সুশিল সমাজ।
    আজ ছিল মাইনূল জাকিরের অন্য রকম একটি সূর্য উদয়। নিজের মত করে সাজিয়ে নেওয়া অন্য রকম দিন। কারন এই দিনে জন্ম গ্রহন করে তার কন্যা সন্তান “আমায়রা তাবাসসুম খান রায়া”। রায়া’র ১ম জন্মদিন অন্যন্যাদের চাইতে আলাদা ভাবে উদযাপন করতে সিদ্ধান্ত নেন  তিনি।

    এতিম শিশুদের নিয়ে কেক কাটা ও তাদের সাথে আনন্দভোগ এবং দিন যাপন করা। যেমন পরিকল্পনা তেমন কাজ করেলেন ময়নূল। গতকাল দুপুরে শাহজালাল-শাহপরানের পূণ্যভূমি সিলেটে এসে জেলা সমাজসেবা অফিসের বাগবাড়ী সিলেটের ছোটমণি নিবাসের সোনা-মনিদের নিয়ে পালন করেলেন তার শিশুকন্যা “আমায়রা তাবাসসুম খান রায়া” প্রথম জন্মবার্ষিকী। শিশু নিবাসের ছোট ছোট সোনামনিদের নিয়ে কাটলেন কেক। পরে শিশুদের নিয়ে কিছু আনন্দ সময় আনন্দ উপভোগ করলেন এবং দুপুরে ছোট ছোট সোনা-মনিদের খানা খাওয়ালেন।

    ওসি মাইনূল জাকিরের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন- আমি সিলেটের মাটিতে চাকুরীরত অবস্থায় আমার ঘর আলোকিত করে “আমায়রা তাবাসসুম খান রায়া” জন্মগ্রহন করে। তাই চিন্তা করলাম মানুষ নিজের জন্য অনেক কিছু করে। আমার নিজের ইচ্ছা ছিল কোন একটি ভাল দিনে এতিম শিশুদের নিয়ে একবেলা আহার করব। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে আমার মেয়ে “আমায়রা তাবাসসুম খান রায়া” জন্মদিনটি শিশু নিবাসের ছোট সোনামনিদের নিয়ে পালন করলাম। আমি এতিম এই ছোট ছোট সোনামনিদের নিয়ে আমার মেয়ের ১ম জন্মবার্ষিকী পালন করতে পেরে সত্যিই আল্লাহর দরবারে হাজারো শুকরিয়া আদায় করছি। কারন তিনিই আমাকে জান্নাতের বাগানের অবুঝ শিশুদের মধ্যে স্বপরিবারে সুষ্ট ভাবে এসে দিবসটি উদযাপন করতে পেরেছি। আমি মনে করি যে কেউ যদি এভাবে এগিয়ে আসে কিংবা তাদের সাথে কিছু সময় কাটায় তাহলে অন্য রকম উপলব্দী উপভোগ করবে, মনে শান্তি পাবে।

    তিনি আরও বলেন চাকুরি জীবনে ইচ্ছা করলেও অনেক সময় সুযোগ হয় না, আমি আল্লাহর রহমতে এই সুযোগ পাওয়ায় মহান রাব্বুল আল-আমিনের শোকরিয়া আদায় করছি। আমি সামাজের বৃত্তবানদের বলব আমরা আমাদের সোনা-মনিদের জন্মবার্ষিকী পালন করতে নানা আয়োজন করি, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করি। একবার অন্তত আপনারা এতিম শিশুদের নিয়ে আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিনটি পালন করুন সত্যিই অন্য রকম আনন্দ উপভোগ করবেন এবং জীবনকে সার্থক মনে করবেন। সেই সাথে শিশু নিবাসের পরিচালক সহ সকল কর্মকর্তা কর্মচারিকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তিনিই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
    এদিকে সুশিল সমাজকর্মীরা বলেন, ওসি ময়নূল জাকিরের এরকম ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনের মধ্যে দিয়ে তার মহানুবতার পরিচয় দিয়েছেন। আমরা মনে করি সমাজের বৃত্তশালীরা যদি নিজ নিজ উদ্যোগে এমন ব্যতিক্রমীধর্মী উদ্যোগ গ্রহন করে তাহলে সমাজের চিত্র পাল্টে যাবে। আমরা বৃত্তবানদের এরকম আয়োজনকে স্বাগত জানাই।