জৈন্তাপুরে বেড়ী বাঁধ কেটে ফেলেছে দৃবৃত্তরাঃকৃষকরা বিপাকে

    0
    193

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৩জানুয়ারী,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃ জৈন্তাপুরে প্রভাবশালী কর্তৃক বেড়ীবাঁধ কেটে ১হাজার বিঘা রোরো চাষের জমির পানি শুকিয়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় জৈন্তাপুর উপজেলা ছাতার খাই ও মহাইল গ্রামের জনসাধারণ প্রতি বৎসর ছাতার খাই মহাইল কান্দি মৌজার প্রায় ১হাজার বিঘা উপরে রোরো ধান চাষাবাধ করেন। এই জমির উপরে কয়েকটি কুপ বা জলাশয়ে বেড়ি বাঁধ দিয়ে রোরো চায়ের জন্য পানি সংরক্ষন করে থাকেন।

    গত ১৮জানুয়ারী দিবাগত রাত অনুমান ৩ঘটিকার সময় ছাতারখাই মৌজার মৃত ওয়াছির আলীর ছেলে সইদুর রহমান(৫০), মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে জহির উদ্দিন(৪০), মৃত হাজি মজিদ বক্সের ছেলে কুতুব আলী(৫০) মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে আব্দুর রহিম(৬০), আব্দুর রশিদের ছেলে বদরুল ইসলাম(৪০) সহ গং বিবাদীগন দলবদ্ধ হইয়া বেড়ী বাঁধ কেটে পানি ছাড়িয়া মাছ আহরন করে।

    ফলে প্রায় ১হাজার বিঘা ভুমির পানি শুকিয়ে য়ায়। অপর দিকে আর ৫শত বিঘার ভূমি চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বর্তমানে পানি শুকিয়ে প্রায় ১হাজার বিঘা জমির রোরো ধান মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। পানির কারনে প্রায় ১৫০ এর অধিক কৃষক পরিবার রোরো ধান নিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছে। পানির জন্য নিরুপায় হয়ে ৬জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত আসামী করে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। যাহার ডকেট নং-৩৪৯৬, তারিখঃ ১৯-০১-২০১৭।

    এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারুক হোসেন জানান- ঘটনার সংবাদ জানতে পেরে একজন উপসহকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে ছাতার খাই মহাইল কান্দি মৌজার রোরো চাষের এলাকা পরিদর্শন করে জানতে পারেন এখানে বিকল্প পদ্ধতীর মাধ্যমে পানি উত্তোলনের সুযোগ নাই। ১৫ হতে ২০ দিন পরে যদি পানি শুকিয়ে মাছ ধরা হতে তাহলে কৃষক পরিবাররা ক্ষতি গ্রস্থ হত না এবং বর্তমানে কৃষকদের অনকে ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে।

    এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুহেল মাহমুদ বলেন- আমার কাছে গ্রামবাসীর পক্ষ হতে একটি লিখিত আবেদন পাই। সরেজমিন তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে কৃষকদের আবেদনটি প্রেরণ করেছি।

    এবিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সফিউল কবির বলেন- নির্বাহী অফিসের প্রেরিত কৃষক পরিবার গুলোর আবেদনটি তদন্তাধীন রয়েছে।