জৈন্তাপুরে বেদায়াতির হাতে নিহত মুজ্জাম্মিল হত্যার প্রতিবাদ

    0
    154

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৮ফেব্রুয়ারিঃ রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধিঃ     সিলেটের জৈন্তাপুরে আমবাড়ী গ্রামে ওয়াজ মাহফিলে বেদায়াতিদের হামলায় নির্মম ভাবে নিহত হওয়া হরিপুর বাজার মাদ্রাসার দাওরা হাদিস বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র হাফিজ মুজ্জাম্মিল হোসেন হত্যার প্রতিবাদে এবং ৭২ঘন্টার মধ্যে কতিপয় বেদায়াতীদের গ্রেফতারের দাবীতে জৈন্তাপুর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে।
    গতকাল ২৮ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুর ২টায় জৈন্তাপুর তৌহিদী জনতার ব্যানারে জৈন্তাপুর ঐতিহাসিক বটতলায় অনুষ্টিত প্রতিবাদ সমাবেশে হরিপুর বাজার মাদ্রাসার শাইখুল হাদিস মাওলানা ইউসুফ এর সভাপতিত্বে এবং লামনীগ্রাম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল জব্বার এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহ, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, ভাইস চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন, জমিয়তে উলামা বাংলাদেশের সেক্রেটারী মাওলানা আলীম উদ্দিন, মাওলানা আতাউর রহমান কোম্পানীগঞ্জী, এডভোকেট নূরুল হক, এডভোকেট মোহাম্মদ আলী, হরিপুর বাজার মাদ্রাসার মুহতামিম হিল্লালা আহমদ, মুহাদ্দিস জয়নাল আবেদীন, শেখ আহমদ আলী কাজির বাজারী, আব্দুল খালিক চাক্তা, হেমু মাদ্রাসার মুহতামিম জিল্লুর রহমান, খরিলহাট মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মুফতি জালাল উদ্দিন, ইসমাইল আলী আশিক, মাওলানা হারুনুর রশিদ কানাইঘাটি, দরবস্ত ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার, চারিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল, ফতেহপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, সাবেক চেয়ারম্যান রহমতউল্লাহ, মাওলানা কবির আহমদ, দেলোয়ার হোসেন জামিল, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট সদর সহ বিভিন্ন এলাকার হক্কানী উলামায় কেরামগন প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

    প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা দাবী করে বলেন- “২৬ফেব্রুয়ারী জৈন্তাপুর উপজেলার আমবাড়ী গ্রামের মসজিদে ওয়াজ মাহফিলের প্রধান বক্তা কোরআন হাদিসের ভূল ব্যাখ্যা দিলে মাহফিলে আমন্ত্রীত অপর অতিথি হরিপুর মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল ছালাম বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চান। তাৎক্ষনিক ভাবে বেদায়াতিরা (?) তাদের পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী ঐক্যবদ্ধ ভাবে হামলা চালায়। তারা বলেন-এ ঘটনায় বেদায়াতীদের হাতে নির্মম ভাবে শাহাদৎ বরন করেন হরিপুর বাজার মাদ্রাসার দাওরা হাদিস বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র হাফিজ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হোসেন এবং আহত হন প্রায় ৫০জন ছাত্র-শিক্ষক। তার পরও বেদায়াতীরা ক্রান্ত হয়নি তারা নিহত আহতদের ঘটনাস্থলে আটকে রাখে। তাদের ঘৃনিত ও বর্বরোচিত হামলার পর ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তাদের মদদদাতাদের নির্দেশে তারা নিজেরাই তাদের বাড়ী ঘরে অগ্নি সংযোগ করে বলে দাবী করেন বক্তারা।

    এছাড়া কৌওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক এবং ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে ও দাবী করেন তারা।

    প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা  আরও দাবী করে বলেন-ঘটনার সংবাদ পেয়ে আহত নিহতদের উদ্ধার করতে গেলে দেখা যায় আমবাড়ী এলাকায় ঘরে ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমরাও ধ্বংসাত্বক মূলক এঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ সাংবাদিক ভাইদের দৃষ্টি আর্কষণ করে জানাচ্ছি আপনারা নিরপেক্ষ ভাবে তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদ্বঘাটন করুন। বর্তমানে পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে সে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা ভূল ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে আমরা আশাবাদি আপনারা আপনাদের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনার রহস্যে উদঘাটন করবেন। সেই সাথে ৭২ঘন্টার মধ্যে বেদায়াতীদের মদদদাতা জৈন্তাপুর উপজেলা মিরন মেম্বার, আব্দুল হান্নান আর্মি, এখলাছুর রহমান এবং কন্টু মিয়াকে গ্রেফতাদের দাবী জানান।

    বক্তারা আরও দাবী করে বলেন-বৃহত্তর জৈন্তিয়া প্রতিটি পাড়া মহল্লার মসজিদ সমুহে হক্কানি আলেমে দ্বীন ও মাওলানাদের নিয়োগ দিতে হবে এবং বহিরাগত বেদায়াতী আটরশি ও দেওয়ানবাগীদের বিতাড়িত করতে হবে। এছাড়া আগামীতে দেশবাসীদের নিয়ে আলেম উলামায়েরা যে সকল কর্মসূচি ঘোষনা করবেন তা পালন করা হবে।