বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দিলেন ডা. মোহাম্মদ মুনির

    0
    256
    রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধি: জৈন্তাপুরে এবার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৃহত্তর জৈন্তিয়ার প্রথম মাধ্যমিক বিদ্যালয় #সেন্ট্রাল_জৈন্তা_হাই_স্কুলের’ প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মনসুরের সুযোগ্য সন্তান জৈন্তাপুরের কৃতি সন্তান ডা. মোহাম্মদ মুনির সম্পূর্ণ অলাভজনক এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন। বিষয়টি এ দৈনিক জৈন্তাপুর প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন ইমরান আহমদ সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ খায়রুল ইসলাম।
    তিনি জানান, সম্প্রতি “জৈন্তায় একদিন বিশ্ববিদ্যালয় হবে স্বপ্ন” এরকম আশাবাদী একটি পোস্ট তিনি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলে অনেকে তাঁর সাথে একমত পোষণ করে জৈন্তাপুরে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সময়ের দাবী হিসেবে উল্লেখ করেন।
    এর কিছু দিন পর ‘‘সেন্ট্রাল জৈন্তা হাইস্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করেন। উক্ত ভিডিও কনফারেন্সে ডা. মুনিরও অংশ গ্রহন করেন। ভিডিও কনফারেন্সে জৈন্তাপুরের শিক্ষার অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবী উঠে।
    পরবর্তীতে ডা. মুনির ব্যাক্তিগত উদ্যেগে তাঁর বাবা মা’র নামে একটি বিশ্ববিদ্যায় স্থাপনের আশ্বাস প্রদান করেন। একই সাথে বিশ্ববিদ্যায়টি জৈন্তাপুরের দরবস্তে স্থাপনের ইচ্ছা পোষণ করেন। ইতিমধ্যে প্রস্তাব বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও ঠিক করা হয়েছে। সম্পূর্ণ অলাভজনক এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত নাম হলো #ছামিরুন_মনসুর_ক্রিয়েটিভ_ইউনিভার্সিটি।
    উল্লেখ্য ডা. মুনিরের পিতা মরহুম মনসুর বৃহত্তর জৈন্তাপুর উপজেলার প্রথম গ্র্যাজুয়েট ছিলেন। জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, তথা কানাইঘাট উপজেলার প্রথম আইসিএস অফিসার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহচর মরহুম মনসুর সেন্ট্রাল জৈন্তা হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অবতৈনিক প্রধান শিক্ষক ও জৈন্তা কলেজের স্বপ্নদ্রষ্ঠা ছিলেন। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও তিনি এতো দূর পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছিলেন। নিজের জীবন দিয়ে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন, স্বার্থপরের মত শুধু নিজে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ঢাকায় পরিবার সহ না থেকেই সবকিছু বিসর্জন দিয়ে দরবস্তে ১৯৫০ সালে শুধু মাত্র একটি হাইস্কুল তৈরির লক্ষ্যে বসতবাড়ি সহ জমি কিনলেন।
    তখন বৃহত্তর জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে কোন হাইস্কুল ছিলনা। জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলা সদরে শুধু জুনিয়র স্কুল ছিল। তাই ১৯৫০ সালে সিলেট-শিলং রোডের পাশে দরবস্তে স্থাপন করলেন বৃহত্তর জৈন্তার জন্য সেন্ট্রাল জৈন্তা উচ্চ বিদ্যালয়।
    সেই শিক্ষনুরাগী পরিবারের সুযোগ্য সন্তান ডা. মোহাম্মদ মুনির এবার জৈন্তাপুরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে এগিয়ে আসলেন। ইতিমধ্যে সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার পাওয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছেন জৈন্তাপুরের সুধী সমাজ।