জৈন্তাপুরে বিদ্যুৎ বিতরন বিভাগের চরম দূর্নিতি

    0
    204

    গাছের সাথে ১১ হাজার কেভির ৩টি বিদ্যুৎ লাইন

     

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৪ডিসেম্বর,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃ সিলেটের জৈন্তাপুরে বিদ্যুৎ বিতরন বিভাগের চরম দূর্নিতির শেষ নেই। ৪শত কোটি টাকার নির্মাণ করা সাব ষ্টেশনের ১১ হাজার কেভি’র ৩টি লাইনের খুঁটি হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে জীবন্ত গাছ।

    সরেজমিনে জৈন্তাপুর বিতরন বিভাগের বিভিন্ন অংশ ঘুরে জানা যায়- নান অনিয়ম ও দূর্নিতির মাধ্যমে জৈন্তাপুরে বিদ্যুৎ বিতরন বিভাগের নতুন সাব ষ্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে ষ্টেশনটি চালু করা হলেও দূর্ভোগের আন্তনেই। শুরু হতে জৈন্তাপুর সাব ষ্টেশন অনিয়ন দূর্নিতি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ নিরবতা পালন করে রয়েছে। যেন দেখার কেউ নেই? নির্মাণ করা সাব ষ্টেশন হতে জাফলং-জৈন্তাপুর বাজারে তিনটি ধাপে ৯টি ১১হাজার কেভির লাইন স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরন কার্যক্রম চালু করা হয়। সার্ব ষ্টেশন নির্মানের সময় উল্লেখ করা হয়েছিল জৈন্তাপুর বিদ্যুৎ সরবরাহ কর্তৃক যে সকল স্থানে লাইন সরবরাহ করা হয়েছে সেই সকল স্থানে নতুন সার্ভিস লাইন চালু করা হবে। এছাড়া এর আওতার বাহিরে নতুন নতুন গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি করা হবে।

    গাছের সাথে বিদ্যুতের তার
    গাছের সাথে বিদ্যুতের তার

    লাগামহীন দূর্নিতির কারনে সাব ষ্টেশন চালু হলেও ২০ হতে ৩০ বৎসর পর্যন্ত পুরানো সার্ভিস লাইন ও খুটি বেশির ভাগ স্থানে পরিবর্তন করা হয়নি। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন অংশে সেই জরার্জীন পুরাতন লাইন দিয়েই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। নতুন ট্রান্সফরমার পরির্বতে বিভিন্ন স্থানে ব্যবহৃত হয়েছে পুরাতন ট্রান্সফরমার। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে পাথর ষ্টোন ক্রাশার মিল মালিকদের নিকট হতে অবৈধ পন্থায় নতুন মিটার দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা উপটোকন হিসাবে হাতিয়ে নিয়ে নতুন ট্রান্সফরমার গুলো পাথর ক্রাসিং মিলে ব্যবহৃার করা হয়। পাথর ক্রাশার মিলের পুরাতন ট্রান্সফরমার গুলো ব্যবহার করা হচ্ছে সর্ভিস লাইন গুলোতে।

    এদিকে উপজেলা বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের নিজপাট মুরগাহাটি এলাকার নাছির উদ্দিন ও তোরা মিয়া ডাক্তারের বাড়ীর সম্মুখে স্থানীয় ভাষায় (বুরি গোটা) গাছ কে খুটি হিসাবে ব্যবহার করে ১১ হাজার কেভির তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিস লাইন স্থাপন করা হয়। নতুন সাব ষ্টেশন নির্মাণ হওয়ার পূর্বে সদ্য বিদায়ী আবাসিক প্রকৌশলী মাসুদ উদ্দিন পারভেজ বলেছিলেন জৈন্তাপুর সাব ষ্টেশন নির্মাণ হওয়ার পর জৈন্তাপুর উপজেলা তথা বৃহত্তর জৈন্তাপুরে বিদ্যুতের কোন সমস্যা থাকবে না। নতুন সাব ষ্টেশন চালু হলেও সমস্যার যেন শেষ নেই। একধিকে যেমন ভূতুড়ে বিল অপরদিকে রয়েছে সীমাহীন দূর্ভোগ।

    গাছের সাথে বিদ্যুতের তার
    গাছের সাথে বিদ্যুতের তার

    অল্প বৃষ্টি কিংবা বাতাস দেখা দিলে ঘন্টার পর ঘন্ট সরবরাহ বন্দ রাখা হয়। উন্নয়ন কাজের নামে পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই সরবরাহ বন্দ রাখা হয়। বিভিন্ন ভাবে কারণ অনুসন্ধানে জানাযায় এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিতরন বিভাগের একাধিক ব্যক্তি জানান- সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধান করলে এবং খতিয়ে দেখলে বের হবে অনিয়মের নানা ফিরিস্তি। ফিডার হতে শুরু করে খুঁটি, টান্সফরমার এবং সার্ভিস লাইন স্থাপনের অনিয়ম।

    জৈন্তাপুর সাব ষ্টেশন যেন উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের ভাগ্যের চাকা খুলে দিয়েছে। তার প্রমাণ স্বরুপ জীবিত গাছে ১১ হাজার কেভির ৩টি গুরুত্বপূর্ণ লাইন। ভোক্তভোগীরা জানান- সংশ্লিষ্ট দ্রুত প্রদক্ষেপ গ্রহনের।

    এবিষয়ে বর্তমান আবাসিক প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিনের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন- পূর্বের কাজটি যাথা সময়ে শেষ না হওয়ায় ফলে উপজেলার বিভিন্ন অংশে উন্নয়ন কাজ বাকী রেখে তারা চলে যায়। ফলে নাগরিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে পুরাতন এবং নতুন ট্রান্সফরমারের সমন্বয়ে কাজ করা হয়েছে।

    বর্তমানে নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আবেদন করা হয়েছে বরাদ্ধ আসলে বাকী উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করা হবে। গাছের সাথে সাথে ১১হাজার কেভির লাইন স্থাপনের বিষয় জানতে চাইলে প্রতিবেদককে জানান- গাছটির মালিককে গাছ কাটার জন্য বলা হলেও তিনি রাজি না থাকায় আমরা লাইন চালুর স্বার্থে কোন দিক ক্ষতি না হয় সে বিষয় লক্ষ্য রেখেই গাছের সাথে লাইন স্থাপন করেছি।