রেজওয়ান করিম সাবিবর,জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধিঃ জৈন্তাপুরে পাহাড় ও টিলা কর্তন কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। সচেতন মহলের দাবী উপজেলা আরও বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ও টিলা কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের।
২জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেপুর (হরিপুর) ইউপির শিকারখা গ্রামের মরহুম শাহেদ আলীর বাড়ীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিৎ কুমার পাল। এসময় সাথে ছিলেন বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক সানোয়ার হোসেন, জৈন্তাপুর মডেল থানার এ.এস.আই মনিরুল ইসলামের নেতৃত্ব একদল পুলিশ ফোর্স।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় চতুর আব্দুল মুতলিব বাড়ীতে কৌশলে পালিয়ে যায়। অপরদিকে আব্দুল মুতলিবের বোন পাহাড় কাটার কথা স্বীকার করেলে প্রাথমিক ভাবে মোবাইল কোর্ট এর নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট বিশ্বজিৎ কুমার পাল ৪০হাজার টাকা জরিমানা করে মিনারা বেগমকে সর্তক করে পাহাড় ও টিলা কর্তন না করার কড়া নির্দেশ জারী করেন।
এদিকে পাড়ার ও টিলা কর্তন কারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে দাবী জানান উপজেলার সচেতন মহল। তারা বলেন গত ৩০জুন রাতের আঁধারে উপজেলা ফতেপুর ইউনিয়নের প্রোট্রেল পাম্প সংলগ্ন হরিপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম গং তামাবিলের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিনের পেলুডারের সাহায্যে এমপি নাম ভাঙ্গীয় পাহাড় কর্তন করে। পাহাড় কর্তনের ফলে পার্শ্ববর্তী একটি পরিবার হুমকীর মধ্যে রয়েছে। যে কোন পাহাড় ধসে বাড়ীটি ক্ষতিসাধিত হবে। এছাড়া পাহাড়ের সন্নিকটে একটি কবরস্থান তারা কেটে নিয়েছে।
এছাড়া পাহাড় খেকুরা ফতেপুর ইউনিয়নের হাইওয়ে ফিলিং ষ্টেশন সংলগ্ন বেশ কয়েকটি পাহাড় ও টিলা কর্তন করেছে। গ্যাস কুপের বিস্ফোরিত এলাকায় কয়েকটি পাহাড় কর্তন করা হচ্ছে। নিজপাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ী প্রবেশ পথে কমলাবাড়ীতে পাহাড় কর্তন করা হচ্ছে, উপজেলা চারিকাটা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পাহাড়া ও টিলা কর্তন করছে প্রভাবশালী চক্র। সরেজমিনে এসকল স্থানে অভিযান পরিচালনার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছে এলাকার সচেতন মহল।
এবিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট বিশ্বজিৎ কুমার পাল বলেন- গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে পাহাড় কর্তনের বিষয়টি জানতে পারি এবং তাৎক্ষনিক ভাবে বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে প্রাথমিক ভাবে পাহাড় কাটার অপরাধ স্বীকার করায় ৪০হাজার টাকা জরিমান করি। উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অচিরেই উপজেলা অন্য স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হবে। পাহাড় কর্তনকারী যতবড় শক্তিশালী হউক না কেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহন করবে।