জৈন্তাপুরে পানি উন্নয়নের বেড়ি বাঁধ কেটে রাস্তা তৈরী

    0
    233

    সংশ্লিষ্ট বিভাগ নিরব ভূমিকা পালন করছে

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৩ফেব্রুয়ারী,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃ সিলেটের জৈন্তাপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ী বাঁধ কেটে রাস্তা তৈরী করে ট্রাকগাড়ী যোগে বালু আহরন করছে একটি চক্র। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ নিবর ভূমিকা পালন করে আসছে। বাঁধের ভিতরের প্রায় ২০টি গ্রামের বাসিন্ধারা আত্মংকের মধ্যে। বর্ষা নামলে ১৯৯৫সনের ঘটনার পূনরাবৃত্তি হবে।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়- উপজেলার বড়গাং নদীর তীর দিয়ে সারী গোয়াইন নামে ১৯৮৩সনে পানি উন্নয়ন বোর্ড কৃষকের ফসলী জমি রক্ষার জন্য বেড়ী বাঁধ নির্মাণ করে। বিগত ১৯৯৫সনে পাহাড়ী ঢলে রুপচেং গ্রামের পাতলাখাতা বাড়ীর উভয় অংশে ২টি এবং ফেরীঘাট এলাকায় ১টি ভাঙ্গন দেয়। বেড়ী বাঁধ ভাঙ্গনের ফলে প্রায় ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার হেক্টর ফসলী জমি বালু উঠে মরুময় হয়। অপরদিকে গবাদী পশু গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী, মৎস্য খামার সহ বশত বাড়ী ঘর ভাসিয়ে নিয়ে যায়। মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে জীবন যাপন করে। বর্তমানে ১৯৯৫সনের ক্ষতি এখনও স্থানীয় জনসাধারণ পূরণ করতে পারেনি। বর্তমানে রুংচেং গ্রামের লাম্বা সিরাজ মিয়ার ছেলে আব্দুস সবুর(২০), তছির আলীর ছেলে শাহিন আহমদ(২২), আব্দুন নুর এর ছেলে কামরুল আহমদ(২৫) এর নেতৃত্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর বেড়ি বাঁধ কেটে ভারী যানবাহনের মাধ্যমে মহামান্য হাইকোর্ট এর নিষেদাজ্ঞা জারী করা বড়গং নদী হইতে অবৈধ ভাবে বালু আহরন করে আসছে। যার ফলে বাঁধের ভিতরে বসবাস করে আসা নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রামের ৩০হাজার জনসাধারণ আত্মংকের মধ্যে রয়েছে। বাঁধের ভিতরের বাসিন্ধা ফয়জুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, রহুল আমিন, তবারক আলী, হরমুজ আলী, হোসেন আহমদ, নাছির উদ্দিন সহ প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তির সাথে আলাপকালে তারা আত্মংকের কথা জানান। তারা বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড জৈন্তাপুরে কর্মরত সত্তার মিয়া ও জৈন্তা-গোয়াইন প্রকল্পের সাব এসিষ্টেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জহিরুল সরকারের সাথে বার বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার পরেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না। তারা লোক দেখানের জন্য বাঁধের কাটা অংশ মেরামত না করে ফেরীঘাট এলাকার বেড়ী বাঁধের উপরে বাঁশ পুতে রাখেন। এদিকে বালু উত্তোলনকারীরা দিন কিংবা রাতে বাঁশ সরিয়ে গাড়ী প্রবেশ করে বালু আহরন করছে নিষেদাজ্ঞা জারীকৃত বড়গাং নদী হতে।

    এবিষয়ে উপজেলা পানি উন্নয়ন বেড়ী বাঁধের জৈন্তাপুর অফিসে গিয়ে কাউকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফোনে জৈন্তা-গোয়াইন প্রকল্পের সাব এসিষ্টেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জহিরুল সরকারের সাথে আলাপকালে জনবল না থাকার ফলে তিনি সিলেট হতে এই প্রকল্পের দেখা শুনা করেন বলে জানান। তিনি বিষয়টি লোক মুখে শুনছেন বলেও স্বীকার করে বলেন আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইউপি চেয়রম্যান ও ইউপি সদস্যরে সহযোগিতা চেয়েছি।

    এবিষয়ে নিজপাট ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইন্তাজ আলী বলেন- কেউ বিষয়টি আমাকে জানাননি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখতেছি। এবিষয়ে ইউপি সদস্য নুর মেম্বার ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন- বিষয়টি জানতে পেরে রাস্তায় বাশঁ পুতে দিয়েছি তার পরেও কাজ হচ্ছে না।

    এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ খালেদুর রহমান বলেন- বেড়ী বাঁধ দেখার বিষয়ে লোকজন রয়েছে, বিষয়টি তারা দেখবে। বড়গাং হতে অবৈধ পন্থায় যারা বালু আহরন করছে তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।