জৈন্তাপুরে ত্রানের ৩০ কেজি চাল পেলেও ৫শত টাকা গায়েব!

    0
    286

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩১আগস্ট,ষ্টাফ রিপোর্টারঃ    সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে বিশেষ বিজিএফ ৩০ কেজি চাল নগদ ৫শত টাকা বিতরন করা হয়। জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্তরা ত্রানের চাল পেলেও টাকা পায়নি ৮নং ওয়ার্ডের দূর্গতরা।
    সরেজমিনে ঘুরে ত্রান প্রাপ্তদের সাথে আলাপকালে জানা যায়- গত ২৯ আগষ্ট মঙ্গলবার জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদে বিশেষ বিজিএফ এর আওতায় বন্যাদূর্গতদের মধ্যে ৩০কেজি চাল ও নগদ ৫শত টাকা বিতরন করা হয়। কিন্তু জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের লামনীগ্রাম, ভিত্রিখেল (ববরবন্দ), ভিত্রিখেল, ভিত্রিখেল (লামাবস্তি) বন্যা দূর্গতদের মধ্যে চাল বিতরন করে। কিন্তু বন্যা দূর্গতরা অতিতের ন্যায় সরকারের পক্ষ হতে চাল পেলেও পূর্বে নগদ অর্থ কখনো পায়নি। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইউপি সদস্য শওকত আলী এবং ট্যাগ অফিসার হাসিনুর রশিদের সহায়তায় দূর্গতদের জন্য বিশেষ বিজিএফ এর ৫শত টাকা করে নিজের কাছে রেখে দেন। ভিত্রিখেল গ্রামের গনি মিয়া, রফিক মিয়া, সুরুজ আলী, নেয়ারুন, মুছা মিয়া, আফিয়া, সাফিয়া সহ প্রায় ৩০/৩৫ জনের সাথে আলাপকালে তারা জানান আমরা ৩০ কেজি করে চাল পেয়েছি কোন টাকা পাইনি। ভিত্রিখেল গ্রামের গনি মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে আলাপকালে তিনি জানান আমার দুই ভাই ৩০ কেজির করে চাল পেয়েছি কিন্তু অন্য ওয়ার্ডের লোকেরা নগদ ৫শত টাকা করে পেলেও আমরা তা পাইনি। টাকার বিষয় জানতে চাইলে “চাল নিয়ে যান” পরে দেখা যাবে। একই ভাবে লামনীগ্রামের সুরুজ আলীর সাথে মোবাইল ফোনে আলাপকালে তিনি বলেন- আমি ও আমার মেয়ে চাল পেয়েছি, এছাড়া গ্রামের আরও অনেকে চাল পেয়েছেন কিন্তু টাকা পয়সা পাইনি বা ওয়ার্ডের কাউকে টাকা পয়সা দেওয়া হয়নি। আপনারা টাকা চাননি প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন- অতিতের মত আমরা মনে করেছি শুধু মাত্র চাল বিতরন করা হচ্ছে, এজন্য টাকা চাইনি। লামনীগ্রামের মুছা মিয়ার সাথে আলাপকালে তিনি জানান- আমার নাম তালিকায় নেই আমাকে ডেকে নিয়ে চাল দেওয়া হয়েছে। আমি কোন টাকা পাইনি এবং কাউকে টাকা দিতে দেখিনি।
    এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমানের সাথে পরিষদে আলাপকালে তিনি জানান- আমি একার পক্ষে প্রতিটি ব্যক্তির বিজিএফ এর টাকা ও চাল বিতরন করা সম্ভব নয়। এজন্য নিজ নিজ ওয়ার্ড মেম্বারের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেই। কোন একজন ব্যক্তি যদি টাকা না পাওয়ার বিষয় আমাকে জানাত তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতাম। বিষয়টি আমি রাতে একজন মুরব্বির মাধ্যমে জানতে পারি। পরিষদের সকল সদস্যদের নিয়ে জরুরী বৈঠকের মাধ্যমে টাকা ও চাল বিতরনের অনিয়মের মাধ্যমে কেউ আত্মসাৎ করলে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা জানান ইউপি চেয়ারম্যান। বিষয়টি নিশ্চিত হতে ২নং জৈন্তাপুর ইউপি সদস্য শওকত আলীর মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অপরদিকে ২নং জৈন্তাপুর ইউপির ট্যাগ অফিসার হাসিনুর রশিদের সাথে আলাপকালে- তিনি জানান আমার সম্মুখে সকল ইউপি সদস্য চাল ও টাকা বিতরন করেছেন। যদি কোন ইউপি সদস্য আমার অনুউপস্থিতে টাকা বিতরন করে না থাকে সেটি আমার জানা নেই।
    এবিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদ বলেন- আমাকে কেউ এরকম ঘটনার কথা জানায়নি। আপনার মাধ্যমে মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আমি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের পদক্ষেপ নিব।