জৈন্তাপুরে টিউবওয়েল খনন করতে গিয়ে গ্যাস উদগীরন

    0
    189

    ঘটনাস্থল পরিদর্শনে হরিপুর গ্যাস ফিল্ড ডিজিএম, জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৯ডিসেম্বর,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃ সিলেটের জৈন্তাপুর এক পল্লীতে টিউবওয়েল স্থাপন করতে গিয়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের উদ্দগীরন। ৯ঘন্টা অতিবাহিত হলেও বুধ বুধ শব্দেবের হচ্ছে গ্যাস এবং আর ২/১ দিন এ গ্যাস বের হবে। মুলত এটি পকেট গ্যাস।

    এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- গত ২৮ ডিসেম্বর বুধবার জৈন্তাপুর উপজেলার ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের লক্ষীপুর আমবাড়ী গ্রামের মৃত শফিক মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া (৩৫) বাড়ীর পার্শ্ববতী স্থানে গভীর নলকুপ খনন কাজে শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় শ্রমিকরা নলকুপ খনন কাজ শুরু করে। এক পর্যায় সকাল অনুমান ৯টায় ভূ-গর্ভের ১৩০ফিট নিচে চলে গেলে হঠাৎ করে বিকট শব্দে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাপে গভীর নলকুপের ১৩০ফিট লোহার পাইপ বের হয়ে আসে। এসময় আশ পাশ্বের মাটি আকাশের দিকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাড়ীর মালিক সহ শ্রমিকরা দ্রুত পাথর চাপা দেন। সরজমিনে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায় সকাল ৯টা হতে একটানা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রায় ৯ঘন্টা ধরে ঘটনাস্থল হতে বুধ বুধ শব্দে প্রাকৃতিক গ্যাস বের হচ্ছে।

    এদিকে প্রাকৃতিক গ্যাস বের হওয়ার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে হরিপুর গ্যাস ফিল্ড ডিজিএম প্রদিপ কুমার বিশ্বাস, সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হোসেন রব্বানী, সিলেট গ্যাস ফিল্ডের উপ-ব্যবস্থাপক সোহেল মাহমুদ চৌধুরী, সিলেট গ্যাস ফিল্ডের উপ-ব্যবস্থাপক ভু-তত্ত্ববিদ ডা. মোঃ ফরহাদুজ্জামান, জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচাজ সফিউল কবির, এস আই সাহেদ আহমদ, জৈন্তাপুর ইউপির চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমান, স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

    ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে হরিপুর গ্যাস ফিল্ড ডিজিএম প্রদিপ কুমার বিশ্বাস জানান-ভূ-গর্ভের ১৫০ হতে ৪৫০ ফুট গভীরে কিংবা এর কম-বেশি গভীরে দেশের বিভিন্ন স্থানে পকেট গ্যাস পাওয়া যায়। আমার মতে এখানে গ্যাসের তেমন কোন চাপ নেই। যদি বেশি রকম চাপ থাকত তাহলে পুরো এলাকায় ভূ-কম্পের সৃষ্টি হত। এ গ্যাস সাধারনত ২ হতে ৭দিন পর্যন্ত বের হতে পারে। গ্যাসের চাপ হতে বুঝা যাচ্ছে আপাতত বড় ধরনের কোন সমস্যার সৃষ্টি হবে না বলে তিনি জানান।

     

     

    তবে এলাকার সবাইকে সর্তক করে বলেন গ্যাস উদ্দগীরনের স্থানে কিংবা আশপার্শ্ব এলাকায় আগুন ব্যবহার না করার পরামর্শদেন। এছাড়া পুলিশের মাধ্যমে গ্যাস উদ্দগিরনে স্থানের পাশ্বের জন সাধারনের চলাচল রাস্তাটি বন্দ করে দেওয়া হয়। ২দিনের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় দূর্ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়।