রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি: পর্যটন খ্যাতের সুপরিচিত সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নীল নদ খ্যাত লালাখাল পর্যটন স্পট সারী নদী। পর্যটনের কথা বিবেচনা করে উপজেলা প্রশাসন সারী নদীর লালাখাল বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ২০লক্ষ টাকা ব্যয়ে “শুকসারী” নামে বাংলাদেশ পর্যটন উন্নয়ন করপোরেশনের অর্থায়নের নন্দিত ঘাট নির্মাণ করে।
ঘাটটি জনসাধারনের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্তের ৬মাসের মধ্যে ঘাটের বেউজ, পিলার, লিন্টার ভেঙ্গে পড়ে এবং মুল স্থান হতে সরে যায়। সচেতন মহলের প্রশ্ন কাজের অনিয়ম এর ফলে ৬মাসের মধ্যে ঘাটটি ভেঙ্গে গেল, পাহাড়ি ঢল ও আগত বন্যায় ঘাটটি যথা স্থানে খুঁজে পাওয়া যাবে না। পর্যটন খ্যাতের তহবিল শূন্য করতে ঘাট নির্মানের নামে প্রায় ২০লক্ষ টাকা গচ্ছা যাচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে এলাকাবাসীর সাথে আলপকরে জানা যায়- জুন মাসে শুকসারী ঘাট বা জলঘাট টি তড়িগড়ি করে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ করে টিকাদারী প্রতিষ্ঠান আব্দুল কাদির এন্টারপ্রাইজ। ঘাট নির্মানে স্থানীয় নদী হতে কাঁদা মিশ্রিত বালু, নিম্ন মানের মরা পাথর এবং তুলনামুলক ছোট রড ব্যবহার মাধ্যমে ঘাট নির্মাণ করেছে টিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। তাদের নানা অনিয়ম দূর্নীতি দেখে স্থানীয় লালাখাল কালিঞ্জবাড়ী গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী, নজির আহমদ, আব্দুর রহিম ও ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ সহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তির স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ জানানয় উপজেলা প্রশাননের কাছে।
অভিযোগের পর উপজেলা প্রশাসন এখন পর্যন্ত সুষ্ট প্রদক্ষেপ গ্রহন না করায় ঘাটি উদ্বোধনের ৬মাসের মধ্যে পিলার লিণ্টার ভেঙ্গে নদী দিকে মূল স্থান হতে সরে পড়েছে। এলাকাবাসী আর জানান কাজের শুরুতেই অনিয়মের জন্য একাধিকবার অভিযোগ জানালেও আমলে নেয়নি উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। তারা কৌশলে টিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বিল উত্তোলনে সহযোগিতা করে। আগত বন্যা ও পাহাড়ী ঢলে নদী গর্ভে বিলিন হবে বাংলাদেশ পর্যটন উন্নয়ন করর্পোরেশনের ২০লক্ষ টাকার শুকসারী নামক নির্মিত ঘাটটি।
এবিষয়ে জানতে জৈন্তাপুর উপজেলা এলজিইডি অফিসার হাসানুজ্জামান অফিসে গিয়ে পাওয়া যায়নি এবং একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে উপজেলা এলজিইডি’র সাব এসিষ্ট্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমদ জানান- ঘাট নির্মানে সম্পূর্ণ তদরকি আমি নিজেই করেছি। ঘাট সরে গেলে কি হবে ঘাট জায়গায় রয়েছে। ফাটলের ছবি ও ভিডিও উপস্থাপন করলে তিনি বলেন এমন ঘাট নির্মানে ব্যয় অনেক বেশি, অল্প টাকায় নিমিত করার ফলে ফাটল দেখা দিয়েছে।
এবিষয়ে জানতে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন- সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বিধি মোতাবেক এলজিইডি এবং টিকাদারী প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।
এবিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌরীন করিম বলেন- ঘটনার সংবাদ পেয়েই তিনি উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছেন এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রির্পোট পাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।