জৈন্তাপুরে কয়েকটি গ্রামে বাকরূদ্ধ পরিবারঃকান্নার কেউ নেই

    0
    214

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৭ডিসেম্বর,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃ  জৈন্তাপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের পরিবার পটকা মাছ (স্থানীয় নাম ফুটকরা) খেয়ে জীবন বিপন্ন হয়ে শোকে আত্মহারা হয়ে পড়েছে এর মধ্যে দরবস্ত ইউনিয়নের উত্তর মহাইল গ্রামের সৌদি প্রবাসী আনিসুল হকের পরিবার বাকরূদ্ধ, কান্নার ও কেউ নাই। নিহত বাচ্চা শিশু দুটিকে এক নজর দেখার জন্য হাজারও মানুষ ছুটে আসছে দুর-দুড়ান্ত থেকে। বাচ্চা দুটিকে দেখে কেউ চোখের জল আটকে রাখতে পারেনি। মা আসমা বেগম (৩০) ও বড় ভাই শাহীন আহমদ (১৪) মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে হাসপাতালে। তারাও জানতে পারেনি তাদের ছোট মনিদের খবর।

    গতকাল ৭ ডিসেম্বর বুধবার আনিসুল হকের বাড়ীতে গিয়ে দেখা য়ায় তাদের আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীরা তাদের দাফনের জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছে। আবার অনেকেই মা ও বড় ভাইকে সুস্থ্য করে স্বাভাবিক জীবনের ফিরিয়ে আনতে ছুটছেন হাসপাতালে। এ যেন বাড়ীটি মৃত্যু পুরীতে পরিনত হয়ে পড়েছে। বাবা আনিসুল হক সৌদি আরব থেকে মোবাইল ফোনে স্বজনদের সাথে কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন, কখন ছুটে আসবে স্ত্রী-সন্তানদের এক নজর দেখতে।

    উলেখ্য গত মঙ্গলবার পটকা মাছ খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে আনিসুল হকের শিশু পুত্র প্রথম শ্রেণীর ছাত্র রাহিম আহমদ(৬) ও মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী মনি বেগম (৮) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়  মারা যায়। আর মা আসমা বেগম (৩০) ও বড় ভাই শাহীন আহমদ (১৪) মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে হাসপাতালে।

    উল্লেখ্য,এ ঘটনায় ৬ডিসেম্বর ৫ জন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জন মৃত্যূরবন করে। বর্তমানে ৪১জন সিলেট শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। তাদের মধ্যে ৯ জনের আবস্থা আশংঙ্কা জনক বলে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন। নিহত ৫ জনকে জানাজা শেষে দাপন সম্পন্ন করেছে এবং অপরজনের লাশ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।