জৈন্তাপুরে আ’লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডা হাড্ডি

    0
    291

    রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধিঃ পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২য় ধাপের দিন যতই কমে আসছে ততই নির্বাচনের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিএনপি বিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও জৈন্তাপুর তেমন কোন প্রভাব লক্ষ করা যায়নি। ১৮ মার্চের নির্বাচনেকে সামনে রেখে আ.লীগ প্রার্থী ও সতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে হড্ডা হড্ডি লাড়াই চলছে। প্রার্থী ও প্রার্থীর সমর্থকরা কাক ডাকা ভোর হতে মধ্য রাত পর্যন্ত তাদের প্রচার প্রচারনা এগিয়ে নিচ্ছে।
    সরেজমিনে ভোটারদের সাথে আলাপকালে তারা বলছে বিএনপি বিহীন নির্বাচন হলেও জৈন্তাপুর উপজেলায় নির্বাচন নিয়ে চলছে ভিন্ন লড়াই। প্রার্থীরা শাসকদলীয় হলেও দিন কমে আসার সাথে সাথে এর ভিন্নতা লক্ষ করা যাচ্ছে। উভয় প্রার্থীরা বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোটের ভোটকে প্রদান্য দিচ্ছে। বিশেষ করে আ.লীগ মনোনিত প্রার্থী সহ তার সমর্থকেরা বিএনপির ভোট নিজেদের করে পাওয়ার জন্য সর্ব্বোচ্ছ চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু সংখ্যাক বিএনপি নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে মাঠে রয়েছেন। অপরদিকে সতন্ত্র প্রার্থী পিছিয়ে নেই, তারাও জনগনকে সাথে নিয়ে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে সর্ব্বোচ্ছ চেষ্টা অব্যহত রাখছে। অনেকেরই ধারনা আসন্ন প ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জৈন্তাপুরে বিএনপির ভোট যেন একটি ষ্ট্যাম্পকার্ডে পরিনত হয়েছে। সাধারণ ভোটাররা মনে করছে কোন প্রকার প্রশাসনিক পক্ষপাতিত্ব না নেন আ.লীগ মনোনিত প্রার্থী ও সতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ১৮ মার্চ সোমবারের নির্বাচন হবে হড্ডা হড্ডি লড়াই।
    ৪নং বাংলাবাজার এলাকার আ.লীগ নেতা নজির আহমদ জানান- আমরা জন্ম হতে আ.লীগের রাজনীতি করে আসছি। তাই গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে স্বাধীনতার প্রতীকে কে বিজয়ী করে প্রধানমন্ত্রীকে আসনটি উপহার হিসাবে দিয়েছি। উপজেলা পরিষদ একটি স্থানীয় নির্বাচন। দল তৃর্ণমূলের মতামতকে যাচাই না করে প্রার্থী নির্বাচন করেছে এক্ষেত্রে আমরা আমাদের পছন্দনীয় প্রার্থীকে ভোট দিব। তিনি আরও বলেন ১৮ মার্চের নির্বাচনে আমি সতন্ত্রপ্রার্থী কামাল আহমদের ঘোড়া প্রতীকে ভোট দিব। কারন হিসাবে তিনি বলেন ঐ প্রার্থী তৃণমূল হতে আ.লীগের রাজনীতি করে উপজেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়েছেন। জৈন্তাপুর বাজারের ব্যবসায়ী কামাল আহমদ বলেন- প্রার্থীদের যোগ্যতা ভিত্তিত্বে দুজন প্রার্থী রয়েছেন, শিক্ষা দ্বীক্ষায় এবং গরিব দুঃখি অসহায় মানুষদের সহযোগিতা যিনি সবার আগে এগিয়ে আসেন সাধারণ জনগন তাকেই নির্বাচিত করবে তিনি জানান।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারীঘাট বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন- নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ছন্দ পতন ঘটছে। তার পরেও তিনি বলেন এবার প্রর্তীক কোন বিষয় নয় মূলত ব্যক্তি নির্ভর নির্বাচন হচ্ছে। লিয়াকতের চেয়ে কামাল এগিয়ে রয়েছে। উপজেলা আ.লীগের অন্যতম নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন- উপজেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল আহমদ তিনি দীর্ঘ দিন হতে রাজনীতি করছেন কিন্তু বিভিন্ন সময় তিনি বিভিন্ন ভাবে দলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে বার বার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন যার কারনে তিনি নৌকা প্রতীক পাননি, এজন্য বার বার তিনি পরাজয় বরন করতে হচ্ছে। এবারও তেমন কিছু বুঝা যাচ্ছে না তবে হড্ডা-হড্ডি লড়াই হবে।

    দরবস্ত বাজারের ব্যবসায়ী শামীম আহমদ জানান- দল প্রার্থী নির্বাচনে ভূল করলে আমরা ভোট দিতে ভূল করব না। যিনি নির্বাচিত হন না কেন হড্ডা-হড্ডি লড়াই হবে, তার পরও সতন্ত্র প্রার্থী কামাল আহমদ এগিয়ে রয়েছেন। একই ভাবে চারিকাটা, লালাখাল, হরিপুর, ফতেপুর, চিকনাগুল কহাইগড়, ৪নং বাংলাবাজার, আসামপাড়া, শ্রীপুর সহ বিভিন্ন এলাকার ভিবিন্ন ব্যক্তির সাথে আলাপচারিতায়- ভোটারা বলেন বিএনপি বিহীন নির্বাচনে একই দলের দুই প্রার্থী নিজেদের জন্য বিএনপির ভোট টানছেন।

    বিএনপির ভোট গুলো উভয়ের জন্য একটি ট্রাম্প কার্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। উভয় নেতারা বিগত দিনের রাজনৈতিক প্রতিহিসংসা সহ নান নির্যাতন ব্যাখ্যা উপস্থাপন করে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন এবং আলোকিত জৈন্তাপুর গড়তে কাজ করারা আহবান জানান। তবে ভোটরা মনে করছে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনটি একটি ভিন্ন মাত্রার নির্বাচন হবে। বর্তমানে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থীর চেয়ে সতন্ত্রপ্রার্থী এগিয়ে রয়েছে।