জৈন্তাপুরে অসময়ে ফলদ ও বৃক্ষ মেলার নামে সরকারী অর্থ অপচয়

    0
    356

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,০৫অক্টোবর,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর অসময়ে ফলদ ও বৃক্ষ মেলার আয়োজন করে। সরকারী টাকা আত্মসাতের লক্ষ্যে প্রচার প্রচারনা বিহীন অসময়ে “ফলদ ও বৃক্ষ মেলা”র আয়োজন করায় লোক সমাগম একে বারেই নেই। আমন্ত্রীত অথিতিরাই কেটে পড়েন উদ্ভোধনের সাথে সাথেই। অনেক নাস্র্ারীর মালিকরা মেলায় অংশ গ্রহন করেই পরোক্ষণে কেটে পড়ে মেলা স্থল থেকে।

    গত ৪ অক্টোবর মঙ্গলবার জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি বিভাগের আয়োজনে ঐতিহাসিক রাজকুমারী ইরাদেবী মিউজিয়ামবাড়ী প্রাঙ্গনে ৩দিন ব্যাপী ফলদ ও বৃক্ষ মেলার আয়োজন করে। কিন্তু উদ্ভোধনী দিন সহ ৫ অক্টোবর বুধবার স্থানীয় জৈন্তাপুরে হাটের দিন হওয়ায় সাড়া পড়েনি বৃক্ষপ্রেমীদের। ষ্টল ঘুরে দেখা যায় সাউন্ড সিষ্টেমে গান বাজলেও শুনার জন্য ষ্টল গুলোতে নেই কোন লোক সমাগম এমনকি ষ্টলের মালিকরা।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা বলেন- গত ১৯ জুন ২০১৬ ইং তারিখে ৫৫৮৭(৫৪৯) স্মারক বাংলাদেশের সকল উপজেলার কৃষি অধিদপ্তরকে মেলার জন্য প্রায় ১লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয় এবং মেলাটি জুন/জুলাই মাসে আয়োজন করার কথা। কিন্তু একই সময়ে কৃষি প্রযুক্তি মেলা আয়োজন করে এই মেলার অর্থ লোপাট করতে চেয়েছিলেন কর্মকর্তা। এসময় জনগনের প্রতিবাদের মুখে ৩দিনের মেলার উদ্ভোধনের দিনই সমাপনি অনুষ্ঠান করতে বাধ্য হয় উপজেলা কৃষি কর্মর্কতা মোঃ ফারুক হোসেন। পরবর্তিতে  মেলা বাবত প্রায় ২লক্ষ টাকা হাওয়া হয়ে পড়ে। তারই ধারাবাহিকতায় ফলদ ও বৃক্ষ মেলার বরাদ্ধ প্রায় ৮৯ হাজার টাকা ঐ সময়ে ব্যাংক হতে ভাউচারের মাধ্যমে পকেটে তুলে রাখেন। কিন্তু নানা ফন্দির পর টাকা আত্মসাতের জন্য চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে নাম মাত্র ৩দিনের ফলদ ও বৃক্ষ মেলার আয়োজন করা হয়।

    এদিকে মেলার প্রধান অতিথি স্থানীয় সংসদ সদস্য উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অসময়ের আয়োজনে তিনি উপস্থিত হননি। ব্যার্থ হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানকে অতিথি করে প্রচার বিহীন ফলদ ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন করেন। এসময় অতিথি বৃন্দরা ফলদ ও বৃক্ষ মেলার’১৬ অব্যবস্থাপনা দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে মেলা স্থল ত্যাগ করেন। পরে স্থানীয় হরিপুর এলাকার কৃষক জাকারিয়া মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন উপজেলা কৃষি অফিসের নানা অনিয়ন তুলে ধরেন। পরে উপজেলা আওমীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি কামাল আহমদ, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হানিফ মোহাম্মদ বক্তব্যে ক্ষুব্দতা প্রকাশ পায়।

    এবিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হোসেন প্রতিবেদকে জানান- যে কোন সময়ে এই মেলাটি করলেই হল এর জন্য কোন নির্ধারিত সময়ের প্রয়োজন নাই। তিনি আরও বলেন মেলায় লোক সমাগম না হলে আমি কি করব? মেলার অর্থ বরাদ্ধের বিষয় জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সোহেল মাহমুদ জানায় আপনাদের মাধ্যমে মেলায় উপজেলাবাসীকে অংশ গ্রহনে এবং গাছ লাগিয়ে  পরিবেশ রক্ষার জন্য উদার্থ আহবান জানাচ্ছি।