জৈন্তাপুরে অজানা আশংঙ্কায় বাউরী টিলাবাসী,বন্দোবস্তের আবেদন

    0
    257

    রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি: জৈন্তাপুরে অজানা আশংঙ্কায় বাউরী টিলাবাসী, ভূমি বন্দোবস্তের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন, উচ্ছেদ অভিযানের ২ বছর পর বাগান কর্তৃপক্ষের অভিযোগ দায়ের।

    এলাকাবাসী সূত্রে যানা যায়- স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময় হতে জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের কামরাঙ্গীখেল দক্ষিন, নয়াখেল উত্তর ও পূর্ব, ভিত্তিখেল উত্তর এর ভুমিহীন বাসিন্ধরা জৈন্তাপুর উপজেলার দক্ষিণ কামরাঙ্গীখেল মৌজার ৫৫নং জেএলস্থিত বর্তমান জরীপি ছাপা ১/১নং খতিয়ানের পাক জরিপি হালের ২৭১নং দাগের বর্তমান জরিপি ছাপা ৫৪৫নং দাগ এবং ২৭৯নং দাগের বর্তমান জরিপি ছাপা ৫৪৯নং দাগ মোট ২৩.১৯ একর ভুমি ভোগ দখল করে বিভিন্ন প্রজাতির কৃষি ফসলাদি ফলাইয়া পরিবার পরিজন নিয়া বসবাস করে আসছেন।

    বিগত কয়েক যুগ হতে তাদের দখলিয় ভূমি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন করে। এদিকে এম.আহমদ টি এন্ড ল্যান্ড কোম্পানী এই ভূমি বন্দোবস্থ না নিয়েই জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা চালায়।

    দখলের প্রেক্ষিতে প্রশাসনের উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভূমির ভূল ব্যাখ্যা উপস্থাপন করে ২০১৬ সনের ২৪শে ডিসেম্বর উচ্ছেদের নামে আমাদের ফসলী ভূমি এবং সৃজিত ফল বাগান বাড়ীঘর, বৃক্ষরাজী ধ্বংস করে। ফলে বাউরীটিলার বাসিন্ধাদের প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বাউরী টিলাবাসীর দাবী যেহেতু সরকারের নিকট হতে বাগান কর্তৃপক্ষ কোন অবস্থায় বর্তমান জরিপি ৫৪৫ এবং ৫৪৯ নং দাগের কোন বন্দোবস্থ নাই কিংবা কোন কাগজপত্র কিংবা তাদের দখল দেখাতে পারেনি।

    দখল দেখানোর নামে প্রশাসনকে ভূল ব্যাখ্যা উপস্থাপন করে আমাদের ক্ষতি সাধান করেছে। বর্তমানে ভূমি গুলো আমাদের দখলে আছে। ভুমির বিভিন্ন জমিতে ধান, শীম, লেবু, তরমুজ, লাউ, কলা, আম, কাঠাল, আনারস চাষ করে জীবিকা অর্জন করে আসছি। তাদের দখলিয় ২৩.১৯ একর ভূমি বন্দোবস্থ পাওয়ার ক্ষতিগ্রস্থ ৩৪টি পরিবার গত ২ এপ্রিল ১৮ তারিখে পূনরায় সরকারি খাঁস কৃষি এবং অকৃষি ভূমি ভূমিহীন নীতিমালা অনুযায়ী বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করে।

    গতকাল বাউরি টিলা এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখাযায় বাউরীটিলা পূর্বের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ৩৪টি পরিবার নানাবিধ ফসল, ধান সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফসল আবাদ করে আসছে। তারা জানায় বাগান কর্তৃপক্ষ তাদেরকে অন্যায় ভাবে উচ্ছেদের নামে আবারও তাদের ফসল হানির জন্য নানা ভাবে হুমকী ধমকী দিয়ে আসছে। সম্প্রতি বাগান কর্তৃপক্ষ পুলিশি হয়রানি করতে ভূমিতে থেকে বিতাড়িত করতে জৈন্তাপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। যেহেতু আমরা পূর্বপূরুষ হতে এই জমি ভোগ দখল করে আসছি তাই ভূমিহীন নীতিমালা অনুযায়ী আমাদেরকে ভূমিটুক বন্দোবস্ত দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-নজর কামনা করে।

    এবিষয়ে জানতে চারিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল বলেন- আমার জানা মতে বাগান কর্তৃপক্ষ কিংবা যাহারা দাখলদার তাদের কাহারো নামে এই জমি বন্দোবস্ত নাই। এছাড়া বাগান কর্তৃপক্ষ কখনও এই ভূমিতে দখলে ছিল না। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় হতে এলাকাবাসীরা বাউরী টিলার ভূমি কৃষি ফসল ফলিয়ে ভোগদখলকার হিসাবে আছে। ২০১৬ সনে বাগান কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের মাধ্যমে দখলের চেষ্টা চালিয়ে এলাকার জন সাধারনের ক্ষতি সাধন করেছে। ভুমিহীন দখলদারদের কথা চিন্তা করে এবং তাদের আবেদন বিবেচনা করে ভূমি বন্দোবস্তের সুপারিশ জানাই।

    এবিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো. মাইনুল জাকির বলেন- বাগান কর্তৃপক্ষের অভিযোগের আলোকে আমার থানার সিনিয়র অফিসার বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্ত এবং কাগজপত্রে বাগানের জায়গা বলে প্রমান পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নিবাহী অফিসার মৌরিন করিম বলেন- উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষ হতে কোন আদেশ আসেনি। যদি আদেশ পাই সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করব।