জুড়ীর ৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যায় প্লাবিতঃশিক্ষা ব্যাহত

    0
    224

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৩জুলাই,এম এম সামছুল ইসলাম,জুড়ী থেকেঃ টানা কয়েকদিনের অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের সৃষ্ট বন্যায়, উজানের পানি কিছুটা কমলেও নিম্না লে পানি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা ৮টি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়, ৬টি মাদ্রাসা, ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যাক্রম স্থগিত হয়ে পড়েছে।

    উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, রোজা ও ঈদের ছুটি শেষে শনিবার (১ জুলাই) বিদ্যালয় খোলার প্রথম দিন ছিল। কিন্তু জুড়ী উপজেলার হাকালুকি হাওর পাড়ের ওই বিদ্যালয়গুলোতে পানি উঠায় শিক্ষা কার্যক্রম চালানো সম্ভব হচ্ছে না।

    শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে ও চারপাশ পানিতে ডুবে আছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পক্ষে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। উপজেলার মক্তদির বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হাকালুকি উচ্চ বিদ্যালয়, জায়ফরনগর উচ্চ বিদ্যালয়, নিরোধ বিহারী উচ্চ বিদ্যালয়, কৃষ্ণনগর উচ্চ বিদ্যালয়, পাতিলা সাঙ্গন উচ্চ বিদ্যালয়, সোনামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও জীবনজ্যাতি উচ্চ বিদ্যালয় এবং শাহপুর দাখিল মাদ্রাসা, নয়াগ্রাম শিমূলতলা দাখিল মাদ্রাসা, জায়ফর নগর ইসলামীয়া মডেল মাদ্রাসা, জায়ফরনগর দাখিল মাদ্রাসা, এম এ মূছাওয়ীর দাখিল মাদ্রাসা ও শাহখাকী দাখিল মাদ্রাসা। ওই ৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬টি মাদ্রাসা বন্যায় প্লাম্বিত হয়েছে।

    তন্মধ্যে হাকালুকি উচ্চ বিদ্যালয়, নিরোধ বিহারী উচ্চ বিদ্যালয়, জায়ফর নগর উচ্চ বিদ্যালয় ও নয়াগ্রাম শিমূলতলা দাখিল মাদ্রাসায় খোলা হয়েছে বন্যার্তদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র। মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি সভাপতি ইছহাক আলী বলেন, বিদ্যালয় বন্যায় প্লাম্বিত হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে।

    পার্শ্ববর্তী এলাকার রাস্তা-ঘাটও পানির নিচে। আমরা পানিবন্দী হয়ে আছি। পানি কমলে যথারীতি ক্লাস শুরু হবে। এদিকে ৬জুলাই থেকে জুড়ী উপজেলায় মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের অর্ধবার্ষিকী ও প্রাক নির্বাচনী পরিক্ষা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু অকাল বন্যার কারনে সঠিক সময়ে পরীক্ষা শুরু করা কি সম্ভব হবে ? এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিবাবকেরা।

    অপর দিকে জুড়ী উপজেলার তালতলা খাগটেকা, কালনীগড়, নয়াবাজার, বশিরপুর, হরিরামপুর, ভবানীপুর, উত্তর ভবানীপুর, কৃষ্ণনগর, ধামাই ই এ সি, দক্ষিন জাঙ্গিরাই উত্তর জাঙ্গিারাই, নয়াগ্রাম, ভোগতেরা, বেলাগাঁও, পূর্ব বেলাগাঁও, শাহাপুর, নিশ্চিন্তপুর, । ভূয়াই, দিগলবাগ ও মানিকসিংহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্যায় প্লাম্বিত হয়েছে।

    তন্মধ্যে বেলাগাঁও, কালণীগড়, শাহাপুর ও কে.বি এহিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। জুড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাজন কুমার শাহ বলেন, এখন পর্যন্ত ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। চারটিতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানি কমলেই পাঠদান শুরু করা হবে।