জুড়ীতে ৫বছর ধরে অকেজো কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্লুইস গেট

    0
    299

    এম এম সামছুল ইসলাম,জড়ী: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে এক কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যযয়ে নির্মিত স্লুইস গেটটি প্রায় ৫ বছর যাবত অকেজো হয়ে পডড়ে আছে। সুফল পাচ্ছেন না কৃষক, সংশ্লিষ্ট সমবায় সমিতি নিয়েও রযয়েছে এলাকাবাসীর বিস্তর অভিযোগ। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ও সমবায় কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প (জাইকা)’র অর্থায়নে প্রায় ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ধামাই গ্রামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয় কাউলীছড়ায় একটি স্লুইস গেট, খাল খনন, দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ও পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির কার্যালয় নির্মাণ করা হয়।প্রকল্পের ভূমি দাতা জহির আলী, স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল আহমদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, জুলেখা বেগমসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, এ এলাকার কৃষকের বোরো আবাদে পানি সেচের সুবিধার্থে স্লুইস গেট নির্মাণের পর বহু কষ্টে ২/৩ বছর সেটা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বেড়ি বাঁধে পর্যাপ্ত মাটি না থাকায় জমানোর আগেই বাঁধ অতিক্রম করে পানি চলে যায়।

    কৃষকরা আগের মত মেশিনের সাহায্যে পানি সেচ দিয়ে জমি চাষ করছেন। আর সরকারের কোটি টাকার স্লুইস গেট অকেজো পড়ে আছে। সার্বিক বিষয়টি দেখাশুনা ও কৃষকের উন্নয়নের জন্য কাউলীছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি গঠিত হয়। কিন্তু সমিতি গঠনের পর থেকে তাদের কোনো কার্যক্রম দেখা যায় নাই। গোপনে এ কমিটি গঠন করা হয়। এতে স য় ও ঋণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সমিতির সম্পাদক ৫ বছর থেকে এলাকায় থাকেন না।নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে সমিতির সদস্যরা বলেন- সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে উদ্দেশ্য সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হোক। প্রকাশ্যে সমিতির হিসাব অডিট করা হোক।জানতে চাইলে কাউলীছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি (পাবসস) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুনিম রাজন বলেন, বিভিন্ন সমস্যার কারণে স য় বা শেয়ার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ডিসেম্বরে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি করা হবে।

    এর প্রতিকার চেয়ে আগামী শুক্রবার (২০ নভেম্বর) এলাকাবাসির উদ্যোগে মানববন্ধন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, ওই সমিতিতে ৮৮ জন সদস্য রয়েছেন। সমিতির সদস্য নিজেরা কমিটি করেন। সমঝোতা না হলে নির্বাচন হয়। মেয়াদান্তে সদস্যরা চাইলে আবারো নির্বাচন হইবে। সবর্শেষ ২০১৮-২০১৯ সালে সমিতি অডিট হয়েছে। উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আব্দুল মতিন বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে স্লুইস গেইট অকেজো তা আগে কেউ আমাকে জানায়নি। সরেজমিন পরির্দশন করে সেটা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে।