জুড়ীতে প্রতিবন্ধী আব্দুল মজিদের স্বপ্ন ভঙ্গ

    0
    480

    জোড় পূর্বক ফিসারী থেকে ৭ লক্ষাধিক টাকার মাছ ধরে নিয়ে গেল সন্ত্রসীরা

    জুড়ী (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতাঃ  মৌলভীবাজারের জুড়ীতে এক প্রতিবন্ধী মালিকের ফিসারী থেকে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ জোড় পূর্বক ধরে নিয়ে গেল সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি গত রোববার দিবাগত রাত উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল জব্বারের পুত্র প্রতিবন্ধী আব্দুল মজিদের ফিসারীতে ঘঠেছে।

    এ ব্যাপারে এর প্রতিকার চেয়ে প্রতিবন্ধী আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রাট ৬নং আমল আদালতে একই গ্রামের ফিরোজ আলীর পুত্র আকমল হোসেন (৩৫) কে প্রধান আসামী করে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা নং-৯৫/২০ দায়ের করেন। মামলার এযাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবন্ধী আব্দুল মজিদ তার পরিবারের দারিদ্রতা থেকে স্বচ্চলতা ফিরিয়ে আনতে জুড়ী কৃষি ব্যাংক থেকে ২ লাখ ৫০ হাজারসহ আত্মীয় স্বজন থেকে আরো ৫ লাখ টাকা ঋণ করে বাড়ীর পাশে তার মালিকানাধীন জায়গায় বড় একটি ফিসারী করেন। ওই ফিসারীতে রুই, কাতলা, মৃগেল, গ্রাসকার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ শুরু করেন। ফিসারীতে তিনিসহ আরো ২ সহযোগিকে নিয়ে দিন-রাত শ্রম ও পরির্চযা করতে থাকেন।

    মাছ যখন বড় হয়ে বিক্রির উপযুক্ত হয়, তখন ওই ফিসারীর প্রতি লোলুপ দৃষ্টি পড়ে সন্ত্রাসীদের। তখন থেকে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সময় ফিসারীর মালিকের নিকট চাঁদা দাবি করে আসছিল। এমনকি ঘটনার দিন রাত ১০ ঘটিকায় আব্দুল মজিদের বাড়ীতে গিয়ে সন্ত্রাসী আকমল হোসেন ও এহছান মিয়া ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করলে আব্দুল মজিদ তাদের দাবি না মানলে জোড় পূর্বক তারা ফিসারী থেকে মাছ মেরে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়। এমনকি এ ব্যাপারে কথা বলেল তাকে প্রাণ নাসের হুমকি দিয়ে সন্ত্রীরা চলে যায়।

    পরে ওই দিন রাত আনুমানিক ১২ ঘটিকায় সন্ত্রীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আব্দুল মজিদের ফিসারীর বাধ কেটে পানি কমিয়ে অত্যাধুনিক জাল দিয়ে ফিসারী থেকে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার মাছ ধরে দিয়ে যায়। ওই সময় পাহারাদার আব্দুল মান্নান ও আব্দুল হামিদ সন্ত্রাসীদের মাছ ধরতে আপত্তি প্রদান করলে, সন্ত্রাসীরা তাদেরকে হাত পা বেধে এলোপাতারি কিল ঘুষি মেরে মুখ বেধে রাখে। সরজমিন সোমবার গিয়ে ফিসারীতে পানি ও মাছ নেই দেখতে পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে এলাকার কয়েক জনের সাথে কথা হলে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, প্রতিবন্ধী মজিদ এখন পথের পতিক। সন্ত্রাসীরা তার জীবনের স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়েছে।