জুড়ীতে ঝুকিপুর্ণ সরু সেতুঃপার হতে যাত্রীদের ৩০ মিনিট ব্যয়!

    0
    235

     আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৮মার্চ,হাবিবুর রহমান খান: মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের জুড়ী উপজেলার বাছিরপুর এলাকায় অবস্থিত একটি ঝুকিপুর্ণ সরু বেইলি সেতু পার হতে দীর্ঘদিন ধরে লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

    ঝুকিপুর্ণ সেতুটি পার হওয়া নিয়ে চালক ও যাত্রীদের মধ্যে প্রায়ই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে থাকে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছুটতে হয় পুলিশকে।

    সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাছিরপুরে জুড়ী নদীর ওপর আগে আরসিসি গার্ডার সেতু ছিল। ১০ থেকে ১২ বছর আগে ওই সেতুর একাংশ ভেঙে গেলে সেখানে বেইলি সেতু স্থাপন করা হয়। বেইলি সেতুটির দৈর্ঘ্য ৭৩ দশমিক ১৭ মিটার এবং প্রস্থে ৩ দশিমক ৬৭ মিটার। এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন দুই-আড়াই হাজার বিভিন্ন ধরনের যান চলাচল করে থাকে।

    সম্প্রতি সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দুই প্রান্তের সংযোগ সড়ক থেকে সেতুটি বেশ উঁচুতে। এ ছাড়া চওড়া কম থাকায় সেতুর ওপর দিয়ে একসঙ্গে বিপরীতমুখী দুটি বড় গাড়ি অতিক্রম করতে পারছে না। শুক্রবার বিকাল ৬ ঘটিকার সময় সরেজমিনে দেখা যায় সেতুর এক প্রান্ত থেকে আসা গাড়ি অন্য প্রান্তে সেতু অতিক্রমের জন্য  দীর্ঘ ৩০ মিনিট যাবত সেতুটির উপরে আটকে থাকতে দেখা যায়।সেতুটির দু’দিকে প্রায় ৬০/৭০ টি গাড়ী আটকে থাকতে দেখা যায়।  আটকে থাকা গাড়ী চালকরা আমার সিলেটকে জানান, “এই রোডে চিপা ব্রিজ এইটাই। এর উপর দিয়া প্রত্যেক দিন হাজারো গাড়ি চলে। ব্রীজটা পার হইতে ১০-১৫ মিনিট সময় অপেক্ষা করতে হয় কোন কোন সময় আধা ঘণ্টা ও লেগে যায়। নতুন ব্রীজ হইলে এভাবে সময় নষ্ট হইতো না আমাদের। তাই আমি জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি উনারা যদি একটু নজর দেন, সেতুটি নতুন করে কাজ করার জন্য।”

    স্থানীয় ও যাত্রীরা বলেন,” সেতুর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত দেখা যায় না। অনেক সময় দুই প্রান্ত থেকে সেতুতে গাড়ি উঠে মুখোমুখি হয়ে পড়ে। চালকেরা কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি হন না। তখন উভয় প্রান্তের গাড়ির চালক ও যাত্রীদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হয়। এমনকি হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।আমাদের জুড়ীতে নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ, ট্রাফিক যদি থাকতো তাহলে আমার মনে হয় এই দুর্ভুগে আমাদের পরতে হতো না। সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে যদি এই সেতুটি নতুন করে কাজ করে আরও প্রসস্ত হয় তাহলে আমাদের যোগাযোগে সময় ও বাঁচবে শান্তি ও থাকবে।”