জুড়ীতে আমনের বাম্পার ফলনঃকৃষকের মুখে হাসি

    0
    229

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০১ডিসেম্বর,এম এম সামছুল ইসলামঃ বাতাসে ছড়াচ্ছে পাকা ধানের ঘ্রান। জমিতে জমিতে দোল খাচ্চে সোনারঙ্গা পাকা ও আদাপাকা ধান। প্রকৃতির অপরুপ এ সৌন্দর্যে কৃষকের বুকে যেন অপার আনন্দ। ধান কাটা নিয়ে চারদিকে চলছে নবান্ন উৎসব। সেই উৎসবের টেউ লেগেছে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার কৃষক পরিবারগুলোতে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আমন ধান কাটার মহোৎসব শুরু হয়েছে। শীতের সকাল থেকে শুরু করে পড়ন্ত বিকেল পর্যন্ত মাঠে মাঠে ধান কাটা, মাড়াই, বাছাই ও শুকনোর কাজে ব্যস্ত কৃষক ও কৃষাণীরা। ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ফুটেছে আনন্দের হাসি।

    উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, জুড়ীতে চলতি মৌসুমে ৮হাজার ২ শ ২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সমপরিমাণ অর্থ্যাৎ ৮হাজার ২ শ ২০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে।

    উপজেলা সদর জায়ফরনগর ইউপির মানিকসিংহ কৃষক খছরু মিয়া (৪৬) জানান, “ইবার ২২ কিয়ার জমিনে ধান ক্ষেত খরছি, খরছ ওইছে পরায় ৪০ হাজার টেকার মতন। জমিনো ভালা ধান ওইছে।” সাগরনাল ইউনিয়নের পাতিলাসাঙ্গন গ্রামের প্রবীণ কৃষক আব্দুস সত্তার (১২০) জানান, আমন উৎপাদনে খরছ অনেক কম হয়। কারণ, বোরো চাষের মতো বেশি সেঁচ ও সার দিতে হয় না। পর্যাপ্ত বৃষ্টি আর পরিচর্যা করলেই আমন ফসল ভালো পাওয়া যায়। বাছিরপুর গ্রামের কৃষক মুনাফ (৩৫) জানান, কৃষি কর্মকর্তা সার্বক্ষনিক তদারকি করায় ও অনুকুল আবহাওয়ার কারণে এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবল সরকার জানান, অত্রাঞ্চলের কৃষকদের অক্লান্ত প্ররিশ্রম, উন্নতমানের বীজ, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন প্রদর্শণী স্থাপন ও পার্সিং প্রদ্ধতির ফলে এবারের ফলন ভালো হয়েছে। আশা করা যায়, গত বছরের মতো এবারও লক্ষ মাত্রার চেয়ে বেশি ফলন পাওয়া যাবে।