জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলঃবদু কাকার প্রতি প্রধানমন্ত্রী

    0
    149

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩০মে,ডেস্ক নিউজঃ আগামী পাঁচ বছর জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর। তার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বি. চৌধুরীকে ‘বদু কাকা’ সম্বোধন করে বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর বদু কাকাকে সাথে নিয়ে ভোটের নামে প্রহসন করেছিলেন।’

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে বুধবার বিকেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (বি. চৌধুরী) কি জিয়ার আমলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও ৭৯ সালের নির্বাচনের কথা ভুলে গেছেন? অবশ্য তাকেও বেশি দিন রাখেননি খালেদা জিয়া। বিদায় নিতে হয়েছে তাকে। এখন সব ভুলে গিয়ে তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছেন। আসলে একটা কথা আছে না, ‘ওরে মেরেছে কলসির কানা, তাই বলে কি প্রেম দিব না।’

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিকল্পধারা বাংলাদেশ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বি. চৌধুরী বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরের জন্য একটি জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। ওই সরকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’

    শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘ভালো কথা, খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছেন বি. চৌধুরী। কিন্তু তিনি কার কাছে মুক্তি চান? আমার কাছে মুক্তি চেয়ে কি লাভ? আমি কি তাকে কারাগারে পাঠিয়েছি? এতিমের টাকা মেরে খাওয়ায় মামলা হয়েছে। আমি তো মামলা দেইনি। মামলা দিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আদালত তাকে সাজা দিয়েছেন, সেখানে যান। আমার কাছে মুক্তি চেয়ে লাভ নেই।’

    ১৯৮১ সালের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তখন আমি দেশেই ছিলাম। সেই নির্বাচনটা কেমন হয়েছিল? মাগুরার উপ-নির্বাচন কেমন হয়েছিল? ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কেমন হয়েছিল? বদু কাকা তখন কোথায় ছিলেন? রেললাইনের তল দিয়ে দৌঁড়াতে (রাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইমিপিচমেন্টের পর এক অনুষ্ঠানে) হয়েছিল। তারা (বিএনপি) তাকে ছাড়েনি।’

    তিনি আরও বলেন দেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে কে গডফাদার, কে ডান-তা বিচার করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আজ বুধবার গণভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কাকে কাকে গডফাদার বলছেন, আমি জানি না। কিন্তু আমি এটুকু বলতে পারি, কে গডফাদার, কে ডন, কে-কী, সেটা কিন্তু আমরা বিচার করছি না। যারাই এর সঙ্গে জড়িত, যাদের বিরুদ্ধে এতটুকু খবর পাওয়া যাচ্ছে, এটা কিন্তু দীর্ঘ দিন গোয়েন্দা সংস্থা কিন্তু কাজ করেছে যে কারা এর সঙ্গে জড়িত।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কিন্তু অপারেশনে হঠাৎ করে যায়নি। হয়তো আপনাদের মনে হতে পারে যে হঠাৎ করে শুরু হয়েছে। ঘটনা কিন্তু তা নয়। দীর্ঘ দিন থেকে নজরদারীতে রাখা হয়েছে, কারা আনে, কোন কোন স্পট থেকে ঢুকছে, কোথা থেকে তৈরি হচ্ছে, কী হচ্ছে।’

    প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কয়েক হাজার মাদক পাচারকারী, মাদকসেবনকারী ও মাদক সরবরাহকারী কিন্তু গ্রেপ্তার হয়েছে। ১০ হাজারের উপরে কিন্তু গেপ্তার হয়েছে। কিন্তু অবাক হয়, আপনারা কিন্তু কোনো পত্রিকায় কতো গ্রেপ্তার হলো-সেটা কখনো উল্লেখ করেননি’।

    মাদকবিরোধী অভিযানে বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘বন্দুকের ব্যবহার যেটা বলছেন, মাদক যারা পাচার করে বা ব্যবহার করে, স্বাভাবিকভাবে যেকোনো ঘটনা যদি ঘটে, সেখানে যদি ওই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে, সেটা আপনারা বলবেন, আইনগত দিক থেকে এটা ঠিক না। কিন্তু যখন পুলিশ একটা অভিযানে যায় বা র্যা ব যখন অভিযানে যায়, যখন তাদের কোনো একটা আনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থার সম্মুখিন হতে হয়, আর সেই ঘটনায় যদি কোনো কিছু ঘটে থাকে, যদি কেউ অন্যায়ভাবে কোনো কিছু করে থাকে-তাদের বিচার হবে।’