শ্রীমঙ্গলের সিম বগুড়া হতে উত্তোলন করে বিকাশ কেলেঙ্কারি

    0
    234

    “গ্রামীণ ফোনের সাব অফিস (STB) বগুরা জেলা শহরের “পাবেল মোবাইল সেন্টারের” সহযোগিতায়  বিকাশ নাম্বারটি বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে একবার উত্তোলন করা হয়েছে ওই দিনই আবার টাকা সরিয়ে  ৩০ মিনিট পর বিকাল ৫ টার দিকে নেটওয়ার্ক কানেকশন দেওয়া হয়।”

    আমারসিলেট24ডটকম,২৫মেঃ মৌলভীবাজার জেলাধীন শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরে হবিগঞ্জ রোডস্থ ইউনাইটেট শপিং সেন্টারের সর্বাদিক পরিচিত গাওছিয়া বুকস এন্ড টেলিফোন সেন্টারের মালিক মাওলানা আব্দুল হক নেজামির বিকাশ নাম্বার থেকে ২৪,৬১৪হাজার টাকা তুলে নিয়েছে অজ্ঞাত প্রতারকেরা।মাওলানা নেজামি জানান ০১৭৭৬-৬১১২৪৪ নাম্বারের সিমটি মেলা থেকে ক্রয় করে তাতে বিকাশ  একাউনট খুলেছিলেন। গত ১০/৫/১৪ ইং তারিখে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ক্রমান্নয়ে ০১৭৮৭-০৭৫৯৬১,০১৭৮৫-০০৮১২৭,০১৭৮৭-০৭৫৯৬০ ওই ৩ টি নাম্বার হতে ৩বারে তার নিজ নাম্বারে মোট ২৩,৫০০ টাকা সেন্ট মানি  করে এবং তার সাবেক ব্যলেন্স ছিল ১,১১৪ টাকা সহ মোট ২৪,৬১৪ টাকা।

    একটু পরেই মোবাইলে নেটওয়ার্ক নেই দেখা গেলে তিনি অপেক্ষা করতে থাকেন কবে নেট আসবে,পরে বিকাল  ৫টায় নেট আসলে তিনি বিকাশ ব্যলেন্স চেক করে তার নিজ নাম্বারে মাত্র ৪৪ টাকা দেখতে পান। এবিষয়ে একটি সুত্র থেকে তিনি জানতে পারেন যে গ্রামীণ ফোনের সাব অফিস (STB) বগুরা জেলা শহরের “পাবেল মোবাইল সেন্টারের” সহযোগিতায় মাওলানা নেজামির বিকাশ নাম্বারটি একবার উত্তোলন করা হয়েছে ওই দিন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এবং টাকা সরিয়ে আবার তার হাতে থাকা সিমে ৩০ মিনিট পর বিকাল ৫ টার দিকে নেটওয়ার্ক কানেকশন দেওয়া হয়েছে।

    মাওলানা নেজামি জানান তিনি এখনো কোন প্রকার জিডি এন্ট্রি করেননি শুধু মাত্র গ্রামীণ ফোনের পরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন এখনো তার কোন উত্তর মিলেনি তাই তিনি বাধ্য হয়ে আবারও আজ রবিবারে নতুন করে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিভিন্ন গ্রাহকদের সাথে কথা বলে  জানা যায়, বিকাশ সহ আরও বড় ধরনের অসৎ কর্ম কাণ্ডে গ্রামীণ ফোনের সাব অফিস (STB) গুলোর কিছু কর্মচারিরা জড়িত। এ রকম  নানা অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ ব্যাপারে ভুক্ত ভোগীরা সরকারের কাছে এর প্রতি সঠিক  নজর দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।