জাফলংয়ের জিরো পয়েন্টে পাথর লোট ! সৌন্দর্য্য বিনষ্ট হচ্ছে

    0
    289

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৮মে,রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর প্রতিনিধি: প্রকৃতিকন্যা খাত জাফলংয়ের জিরো পয়েন্টের পাথর লোট কোন ভাবেই থামছে না। দিন-রাত সমান তালে চলছে পাথর লোটের মহোৎসব। আঙ্গুল ফলে কলাগাছ হচ্ছে সামছা পাটি। এলাকাবাসীর অভিযোগ স্থানীয় বিজিবি বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী নিরব ভূমিকা পালন করছে।

    সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়- স্থানীয় একটি পাথর খেকু চক্র সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও বিজিবি’র সাথে আতাত করে ভারতের ডাউকি নদী হতে পানির ¯্রােতে নেমে আসা নুড়িপাথর স্তুপ হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের পিয়াইন নদীর উৎসমূখে জমাট বেধে আছে। সিলেটের জাফলংয়ের স্বচ্ছ পানির, সারী-সারী পাহাড়, ঝর্ণার মনোরম দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন হাজার হাজার দেশি-বিদেশী পর্যটকরা সমাগত হয়। পাথর খেকু চক্রের একটি বাহিনী দীর্ঘদিন হতে স্থানীয় বিজিবি’র সহায়তায় জিরো পয়েন্টের সৌন্দর্য্য বিনষ্ট করে পাথর লোট অভ্যাহত রাখে।

    কোয়ারী এলাকায় সাধারনত খনিজ সম্পদ আহরনের অনুমতি থাকলেও সীমান্ত রেখার সন্নিকট হতে ১৫০গজ দূরত্বে হতে খনিজ সম্পদ সংগ্রহ, আহরন, উত্তোলন সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ হতে অপার সৌন্দর্য্যরে লীলা ভূমি জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট হতে ৫শত গজের মধ্যে পাথর উত্তোলন, সংগ্রহ, আহরনের উপর নিষেদাজ্ঞা রয়েছে।

    অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় পাথর খেকু চক্রের সদস্যরা জিরো পয়েন্টের পাথর সাবাড় করতে স্থানীয় বিজিবির সাথে প্রতি নৌকা ১৫শত টাকা হারে চুক্তি করে জিরো পয়েন্টের পাথর লোট করা হচ্ছে। কোন কোন সময় সীমান্ত রেখা পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে পাথর লোট করে চক্রের সদস্যরা। এসময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী নৌকা ধরে নিয়ে গেলেও শ্রমিকরা প্রাণ পানিতে ঝাপ দিয়ে রক্ষাপায়।

    গত ২রা, ৩রা মে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ১২টি নৌকা ধরে নেয়। স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরও কোন ভাবে থামছে না পাথর লোট। বৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে ডাউকী ও পিয়াইন নদীতে পানি বৃদ্ধিপায় এই সুযোগে পাথর লোটকারী চক্রের সদস্যরা অর্থের বিনিময়ে শত শত নৌকা দিয়ে জিরো পয়েন্টের সৌন্দর্য্য বিনষ্ট করে পাথর লোট চালায়। নৌকা হতে অর্থ কালেকশন করে চক্রের নিজস্ব গঠিত সামছা বাহিনী।

    বাহিনীর সদস্যরা টাকা সংগ্রহ করে তা বন্টন করে যার বড় অংশ যায় স্থানীয় বিজিবির হাতে এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। অনেক সময় তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে নানা হুমকী ধমকী দিয়ে যায় চক্রটি। একাধিকবার সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানালে তারা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করে না। ব্যবসায়ীরা বিজিবির উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হলে লোক দেখানো অভিযান ছাড়া কিছুই করা হয় না।

    বরং দিন দিন জিরো পয়েন্টের পাথর লোটের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এলাকার সচেতন মহলের দাবী বাংলাদেশের প্রকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলা ভূমি প্রকৃতিকন্যা জাফলংয়ের হাজার হাজার পর্যটদের কথা চিন্তা করে পাথর লোট বন্দের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।

    এবিষয়ে জানতে সংগ্রাম সীমান্ত ফাঁড়ির ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে অতিথি থাকার কারনে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে বিজিবির গোয়েন্দা সদস্য শাহাবুলের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্প কমান্ডরের সাথে আলাপ করতে বলেন।