জাতীয় প্রেসক্লাবে গার্মেন্টস শ্রমিক মজুরী র‌্যালী অনুষ্ঠিত

    0
    266

    “গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরী নিয়ে তামাশা এবং ষড়যন্ত্র বন্ধ করে শ্রমিকদের  ১৬ হাজার টাকা নিম্নতম মজুরী ধার্য করার আহবান”

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরী নিয়ে তামাশা এবং ষড়যন্ত্র  বন্ধ করে ১৬ হাজার টাকা নিম্নতম মজুরী ধার্য করার  দাবী  জানিয়েছে গার্মেন্টস সেক্টরের সক্রিয় এবং আন্দোলনরত ২টি ফেডারেশন ইন্ডাষ্ট্রিঅল গ্লোবাল ইউনিয়ন এর এ্যাফিলিয়েট * জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন(ঘএডঋ) এবং * একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন (অএডঋ)। গার্মেন্টস শ্রমিক ১৬ হাজার টাকা মজুরী র‌্যালীর মধ্য দিয়ে তারা আজ ২৭ জুলাই, ২০১৮, শুক্রবার এ দাবী জানান। সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব এর সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে গার্মেন্টস শ্রমিক মজুরী র‌্যালী শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।

    জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি জনাব আমিরুল হক্ আমিনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন ঃ একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জনাব কামরুল হাসান, ২টি ফেডারেশনের কেন্দ্রীয়  নেতা মিসেস আরিফা আক্তার, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মিস সাফিয়া পারভীন, মোঃ কবির হোসেন, মিসেস সীমা আক্তার, মিসেস নাছিমা আক্তার, ইসরাত জাহান ইলা, মোঃ ফরিদুল ইসলাম ও মিসেস সুইটি আক্তার।

    সংহতি বক্তব্য রাখেন, বিলস এর নির্বাহী পরিচালক জনাব সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ এবং আই.বি.সির মহাসচিব জনাব সালাউদ্দিন স্বপন ।

    বক্তারা, গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বোর্ড গঠনসহ মজুরী বোর্ডে দাখিলকৃত প্রস্তাবনার কঠোর সমালোচনা করে এটাকে “ তামাশা ” বলে উল্লেখ করে বলেন, “মজুরি বোর্ডে শ্রমিক প্রতিনিধি সেই সেক্টরের শ্রমিক সংগঠন এবং সবচেয়ে বেশী সংখ্যক শ্রমিকদের  প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন থেকে হবার কথা। কিন্তু মজুরি বোর্ডে যাকে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তিনি গার্মেন্টস সেক্টরের কোন সংগঠনের সাথেই যুক্ত নন। ৬ মাসের মধ্যে মজুরি নির্ধারন এবং ঘোষনার নিয়ম থাকলেও ৬ মাসে মজুরি নির্ধারন এবং ঘোষনাতো দুরের কথা– বৈঠক হয়েছে মাত্র ৩টি।

    ৫ বছর আগের ৭তম গ্রেডের ৫,৩০০/- টাকার সাথে ৫% বৃদ্ধিসহ যেখানে ৭তম গ্রেডে বর্তমানে মজুরি হয় ৬,৪০০/- টাকার বেশী, সেখানে মালিক পক্ষ প্রস্তাব দিয়েছেন ৬,৩৬০/- টাকা–যা মজুরি কমানোর সামিল। অন্যদিকে সকল শ্রমিক সংগঠন যেখানে নি¤œতম মজুরি দাবী করেছে ১৬,০০০/- টাকা, সেখানে শ্রমিক প্রতিনিধি প্রস্তাব দাখিল করেছেন ১২,০২০/- টাকা—যা সম্পুর্ন অযৌক্তিক এবং অনৈতিক। দেশের সবচেয়ে বড়, অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি এবং সবচেয়ে লাভজনক এই সেক্টরের শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে এধরনের তামাশা বন্ধ করে  যৌক্তিক মজুরি নির্ধারন করা অত্যন্ত জরুরী।”

    বক্তারা, সকল শ্রমিক সংগঠনের মতামতকে উপেক্ষা করে শ্রমিক প্রতিনিধি কর্তৃক মাত্র  ১২ হাজার টাকা মজুরীর প্রস্তাব দেয়াকে সকল শ্রমিক সংগঠন এবং শ্রমিকদেরকে বিক্ষুবধ করার অপচেষ্টা বলে উল্লেখ করেন। একই সাথে ২০১৩ সালের মজুরী বোর্ড অনুযায়ী বর্তমানে সর্ব নি¤œ ৬,৪০০/- টাকার বেশী হওয়ার কথা সেখানে মালিক পক্ষের প্রস্তাব ৬,৩৬০/- টাকার প্রস্তাব দেয়াকে  মজুরি কমানোর সামিল বলে উল্লেখ করে বলেন, এটা শ্রমিকদেরকে বিক্ষুবধ এবং উসকানি দেয়ার সামিল। এরা শ্রমিকদেরকে বিক্ষুবধ এবং উসকানি দিয়ে এই সেক্টরের একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তার দায়ভার শ্রমিক এবং শ্রমিক সংগঠনের উপর চাপিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে।

    বক্তারা, সিপিডি কর্তৃক ৫ বছর আগের ৫,৩০০টাকা নি¤œতম মজুরীর সাথে ৩২% মুদ্রা¯ফীতিকে  যুক্ত করে ৭ হাজার টাকার যে ফর্মূলা তৈরী করেছেন এটাকে হঠকারী এবং দেশের ৪২ লক্ষ শ্রমিকের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতার সাথে সামিল বেল উল্লেখ করেন।