সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন’র মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী
সম্প্রতি জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় হতে আবরার হত্যাকান্ড নিয়ে প্রকাশিত বিবৃতির বিষয়ে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক আবেদ আলী জানান, জাতিসংঘ ও যুক্তরাজ্যের এহেন মন্তব্যে বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মীরা বিব্রত বোধ করছে এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
আবরার হত্যাকান্ড নিঃসন্দেহে একটি দুঃখজনক ঘটনা এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
উক্ত ঘটনার পর দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনেছে এবং আইনি প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান আছে। তদুপরি বাংলাদেশের সরকার প্রধানও উক্ত বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত এবং দুঃখজনক হলেও এটি সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের আভ্যন্তরিণ বিষয় যা নিয়ে জাতিসংঘ বা যুক্তরাজ্যের মন্তব্য প্রদান দুঃখজনক। একটি স্বাধীন দেশের আভ্যন্তরিণ বিষয়ে এহেন মন্তব্য কুটনৈতিক শিষ্ঠাচার বহিঃর্ভূত বলে মন্তব্য করেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব।
“জাতিসংঘ ও যুক্তরাজ্যের বিবৃতিতে ব্যক্তিগত মত প্রকাশের কারণে আবরারকে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় এবং ঐ ঘটনার প্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। একই দিনে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্য হাই কমিশনের এক বার্তায় জানান যে বুয়েটে ঘটে যাওয়া ঘটনায় তারা বিস্মিত ও মর্মাহত। যুক্তরাজ্য বাকস্বাধীনতা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রসঙ্গে নিঃশর্তভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ।”
তদন্তাধীন একটি বিষয় সম্মন্ধে “ব্যক্তিগত মত প্রকাশের কারণে আবরারকে হত্যা করা হয়েছে” বলে মন্তব্য করা কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য না। সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি ও আইনের শাসন অন্য যে কোন সময়ের চাইতে উন্নততর অবস্থায় বিদ্যমান। বর্তমান সরকার জঙ্গী দমনের ন্যায় সন্ত্রাস দমনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ ও যুক্তরাজ্যে হাই কমিশনের এমন মন্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করেছে। সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে উক্ত মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি