জনগণের দাবির মুখে তত্ত্বাবধায়ক দিয়েছিলাম:খালেদা

    0
    224

    আমার সিলেট  24 ডটকম,অক্টোবর আগামীকাল থেকে এ সরকার আর বৈধ নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, তাই এ অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা সকলের নাগরিক দায়িত্ব। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি সমর্থক শিক্ষক-কর্মচারীদের সমাবেশে তিনি এসব বলেন। দুপুর ২টার দিকে শুরু হওয়া এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া। বিকাল পৌনে ৫টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সমাবেশস্থলে পৌঁছান খালেদা জিয়া।
    সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রেসক্লাবের আশেপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। চাকরি জাতীয়করণ, ননএমপিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা, চাকরিচ্যুত শিক্ষক-কর্মচারীদের পুনর্বহালসহ পেশাগত বিভিন্ন দাবিতে এ সমাবেশ ডাকা হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুক, বিএনপির যুগ্মমহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, আমানুল্লাহ আমান, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দীন খোকন, কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিএনপি সমর্থক শিক্ষকরা।
    সমাবেশে সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এখন নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছে। আর টালবাহান চলবে না। আগামীকালের ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশে বাধা দেবেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, আপনি বলছেন, সংবিধান থেকে একচুলও নড়বেন না। আবার ক্ষমতায় আসবেন এ চিন্তা ভুলে যান। এ সংবিধান এবং আপনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া হবে না। বিরোধীদলীয় নেতা আরও বলেন, আপনারা বড়াই করেন, অনেক কাজ করেছেন। অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এত জনপ্রিয় হলে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন।
    খালেদা জিয়া বলেন, সংবিধান সংশোধনের কোনো দরকার ছিল না। কারণ তত্ত্বাবধায়কের দাবি ছিল জনগণের। এর জন্য আওয়ামী লীগ দিনেরপর দিন হরতাল করেছে, গান পাউডার দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। আমরা জনগণের দাবির মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়েছিলাম। কিন্তু, সরকার চিরতরে ক্ষমতায় থাকার জন্য এটি বাতিল করেছে। তিনি বলেন, যেখানে বিরোধী দলকে সভাসমাবেশ করতে দেয়া হয় না, নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ঘর হতে বের হতে দেয়া হয় না। সেখানে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না। বর্তমান সরকারে অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।
    বিএনপি চেয়ারপারসন অভিযোগ করে বলেন, যেখানে সেখানে বিরোধী নেতাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। অনেককে গুম করা হচ্ছে। রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সরকারের লুটপাটের কারণে পদ্মাসেতুর নির্মাণ বন্ধ হয়ে গেছে। সোনালী ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক লুট করা হয়েছে।