ছেলেকে বেঁধে মাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা

    0
    273

    নবীগঞ্জ প্রতিনিধি: নবীগঞ্জে ছেলেকে বেঁধে মারপিট করে ছেলের সামনে মাকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    মামলার বিবরণে প্রকাশ, নবীগঞ্জ উপজেলার ৮নং নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের হালিতলা (বারৈকান্দি) গ্রামের আব্দুর রউফের স্ত্রী সরলা বেগম ও তার ছেলে সবুর মিয়া গত ২৪ শে আগষ্ট বিকাল ৩টায় নবীগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে হালিতলা বাজারে পৌঁছা মাত্রই একই গ্রামের আলীম উদ্দিনের ছেলে মোঃ আফজাল মিয়া (২৫) সরলা বেগমের ছেলে সবুর মিয়াকে  তার দোকানে ডেকে নিয়ে যায়।

    ওই সময় দোকানে থাকা একই গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান (৩০), জালাল উদ্দিনের ছেলে আব্দাল মিয়া (৪৫), আব্দাল মিয়ার ছেলে সুয়েব মিয়া (২০), প্রতাপ উদ্দিনের ছেলে মোহন মিয়া (৩০) মিলে সবুর মিয়াকে বেঁধে তাকে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র, লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতারী মারপিট করে তার মারাত্নক জখম করে।

    সবুর মিয়ার শোর চিৎকার শুনে বাহিরে থাকা সরলা বেগম ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে  আসলে তাকেও এলোপাতারী মারপিট করে গুরুতর আহত করে।আফজাল মিয়াও মতিউর রহমান সরলা বেগমের   কাছে থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের দুটি বালা ও স্বর্ণের চেইন জোরপূর্বক  ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়াও আব্দাল মিয়া (৪৫) সরলা বেগমের ব্যানেটি ব্যাগে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে সরলা বেগমকে তার ছেলের সামনে সুয়েব মিয়া (২০) ও মোহন মিয়া (৩০) কাপড়-চোপড় টেনে খুলে তাকে অর্ধনগ্ন করে শ্লীলতাহানী করা হয় বলেও মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়।

    পরে সরলা বেগম ও তার ছেলে সবুর মিয়ার শোর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সরলা বেগমও সবুর মিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং সবুর মিয়ার অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে সরলা বেগম সুস্থ হয়ে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মোঃ আফজাল মিয়া (২৫) সহ উপরে উল্লেখিত ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।