ছাত্রসেনা মৌলভীবাজার শাখার উদ্যোগে শহীদ হালিম দিবস

    0
    567

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১১জুলাইঃ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা মৌলভীবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে শহীদ হালিম দিবস ও জেলা সাধারন সভা, জেলার সভাপতি এম এ এম রাসেল মোস্তফার সভাপতিত্বে জেলা কার্যালয়ে অনুষ্টিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনার মৌলভীবাজার জেলার সভাপতি এম মুহিবুর রহমান মুহিব,বাংলাদেশ ইসলামী ছাএসেনার মৌলভীবাজার জেলা শাখার সহ সাধারন সম্পাদক আশরাফুল খাঁন রুহেল,আলমগীর হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাইফুর রহমান মুন্না।

    এ ছাড়া আর উপস্তিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান জুলহাস, ছাত্রকল্যান সম্পাদক নুরে আলম সিরাজ নগর ফাজিল মাদরাসা শাখার প্রচার সম্পাদক মোশারফ হোসেন প্রমুখ, পরে শহীদ হালিম এর মাগফিরাত কামনা করে এর জন্য মিলাদ ও দোয়া করা হয়।

    নেতৃবৃন্দ বক্তৃতায় বলেন, শহীদ আবদুল মুস্তফা হালিম অত্যন্ত মেধাবী এবং চৌকষ সেনা কর্মী ছিলেন।একজন স্বপ্নবাজ মানুষ ও আর্দশের ফেরিওয়ালা ছিলেন তিনি।

    তারা আরও বলেন,ধর্মব্যবসায়ী ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের হাতে ১৯৮৪ সালের ১০ জুলাই নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেন সুন্নী রনাঙ্গনের সাহসী এই বীর।তার রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। শহীদের রক্তের প্রতিটি কণা হতে জন্ম নিয়েছে লাখো কোটি সেনা কর্মী।শহীদ হালিমের রক্তের ফোটা হতে জন্ম নেয়া লাখো কোটি কর্মী আজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সর্বত্র।মজবুত খুটি গড়েছে দেশের সীমানায় সীমানায় দেশ মাতৃকাকে নিরাপদ রাখতে।ধর্মদ্রোহী, দেশদ্রোহী,স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে রুখে দিতে শহীদ হালিমের ৩৩ তম শাহাদাত বার্ষিকীতে নতুন করে শপথ নিতে হবে এই প্রজন্মের সেনানীদের। শহীদ হালিমের হত্যার বদলা নিতে হবে এই প্রজন্মদের শহীদ হালিমের স্বপ্নের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাহ এর আর্দশের রাষ্ট্র ও সমাজ বির্নিমাণের মাধ্যমে।

    বক্তারা বলেন,শহীদ আবদুল হালিমের স্বপ্ন ছিলো হেরার আলোয় আলোকিত করবে প্রিয় দেশকে। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী চক্র,স্বার্বভৌমত্ব বিরোধী চক্র,ধর্মব্যবসায়ীরা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে চেয়েছিল তার সেই স্বপ্নকে চুরমার করে দিতে এবংসাথে চেয়েছিল দ্বীনি আন্দোলনের কাফেলা, শহীদি কাফেলা, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপঙ্কের সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে।কিন্তু তার বিপরীতে শহীদ আবদুল হালিমের রক্তের স্রোতধারা বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যায় শহীদের হালিমের সেই স্বপ্নকে, সাথে এগিয়ে নিয়ে যায় তার প্রিয় কাফেলাকে। বরাবরের মতো ইতিহাসের আস্তাখুলে ধ্বংস হয় হায়েনারা।চিহ্নিত হয় জাতির কাছে ধর্মব্যবসায়ীরা।

    বক্তারা আরও বলেন,শহীদ আবদুল হালিম আজীবন রয়ে যাবে দেশপ্রেমী,ইসলামপ্রেমী মুক্তিকামী জনতার হ্রদয়ের মনিকোটায়। ৩৩তম শাহাদাত বার্ষিকীতে আমার ভাই শহীদ আবদুল মুস্তফা হালিমের আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি।দোয়া করছি মহাপরাক্রমশালী আল্লাহতায়ালা তাকে যেন যথাযথ শহীদি মর্যাদা দান করে।আমিন। দোয়া মাহফিলে শহীদ হালিমের শাহাদাতের উসিলায় আল্লাহতায়ালা আমাদের জীবন-যৌবন,অর্থ -সম্পদ সবকিছু য়েন আল্লাহর রাস্তায় কবুল করে নেন বলে প্রার্থনা করা হয়।