ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ কর্মী মাসুদ মারা গেছেন

    0
    242

    আমারসিলেট24ডটকম,০ডিসেম্বরঃ সিলেট সুনামগঞ্জের ছাতকে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মাসুদুল ইসলাম মাসুদ নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী মারা গেছেন। ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার সন্ধ্যায় মাসুদুল ইসলাম মাসুদ মারা যান। আজ বিকেলে ছাতক উপজেলা সদরে সংঘটিত সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন এই ছাত্রলীগ কর্মী মাসুদ ।নিহত  মাসুদ ছাতকের কালারুকা ইউনিয়নের দিগলবন্দ গ্রামের বাসিন্দা ও ছাতক ডিগ্রী কলেজের ছাত্র।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৮ দলের অবরোধ চলাকালে রোববার বেলা ২টার দিকে ছাতকের বাগবাড়ি এলাকায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী বাগবাড়ি এলাকায় তাহির প্লাজার সামনে হরতালের সমর্থনে পিকেটিং করছিল।

    প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে আরো জানা যায়, এ সময় ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমদ চৌধুরীর ভাই শাহীন আহমদ চৌধুরী রিকশায় করে ওই এলাকা অতিক্রম করছিলেন। এ সময় ছাত্রদলের কর্মীরা শাহীন আহমদ চৌধুরীকে রিকশা থেকে নামিয়ে দেন। এ নিয়ে শাহীন চৌধুরীর সঙ্গে ছাত্রদলকর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়।

    খবর পেয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মীরা ওই এলাকায় হরতালবিরোধী মিছিল বের করে। এক পর্যায়ে অবরোধকারীদের ধাওয়া করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। ছাত্রলীগ কর্মীরা স্থানীয় বিএনপি অফিসে ভাঙচুর করে আসবাবপত্রে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় গুলিতে উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল আহমদ পাবেলসহ ছাত্রদলের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। পরে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে একে অন্যের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয়পক্ষ একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে উভয়পক্ষের  অন্তত ৩০ জন আহত হন।

    খবর পেয়ে ছাতক থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ ছত্রভঙ্গ করতে অন্তত ৩০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে।গুরুতর আহত অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত ছাত্রলীগের কর্মী মাসুদুল ইসলাম সন্ধ্যায় মারা যান। বর্তমানে তার মৃতদেহ ওসমানী হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।