ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ না পেয়ে বহিষ্কৃত নেত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা !

    0
    251

    বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ না পেয়ে সদ্য বহিষ্কৃত সংগঠনটির বিগত কমিটির সদস্য জারিন দিয়া আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।

    ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতারা জানান, সোমবার দিনগত রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন জারিন দিয়া। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। তবে এখন তিনি শঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

    ১৩ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে পদবঞ্চিতদের ওপর হামলার ঘটনায় গতকালই ছাত্রলীগ থেকে জারিন দিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। হামলার দিন রাতে জারিন দিয়া ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে অভিযুক্ত করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। যেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এই ঘটনায় তাকে বিভিন্ন জায়গা থেকে হুমকিও দেয়া হচ্ছিল বলে জারিন সেসময় অভিযোগ করেছিলেন।

    পদবঞ্চিত হয়ে হামলার শিকার এবং উপরন্তু বহিস্কারের ঘটনা সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    মধুর ক্যান্টিনে মারামারি

    এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে বহিষ্কারের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে পদবঞ্চিতরা। তাদের দাবি- এ ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের কোনো শাস্তি দেওয়া হয়নি।

    ছাত্রলীগের বিগত কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, আমাদের উপর দু’দফা হামলা হয়েছে। মধুর ক্যান্টিনে হামলার ঘটনায় অনেক কেন্দ্রীয় নেতা জড়িত ছিল। কিন্তু তাদের কিছুই করা হয়নি। অন্যদিকে জারিন দিয়া আহতও হলো, তাকে বহিষ্কারও করা হলো। এ রকমটা করবে বলেই আমরা ধারণা করেছিলাম।

    সাবেক উপ-দফতর সম্পাদক শেখ নকিবুল ইসলাম বলেন, এটি ব্যক্তিগত আক্রোশ ছাড়া আর কিছুই না। জারিন দিয়া ঐদিন আহত হলো। অথচ তাকেই সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, কি প্রমাণ করতে চান এইগুলো করে? যারা মূল কালপ্রিট, তাদের কাউকেই অভিযুক্ত করলেন না, বহিষ্কার করলেন না। জাতি এগুলো বুঝে। এগুলো প্রহসন ছাড়া কিছু না।

    উল্লেখ্য, গত ১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ এক সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির পদবঞ্চিত একটি অংশ সন্ধায় বিক্ষোভ ও পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করতে যায় মধুর ক্যান্টিনে। এসময় তাদের ওপর পদপ্রাপ্ত ও তাদের সমর্থকরা হামলা করে। এতে রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী দিশাসহ ৫-৭ জন আহত হয়। এই ঘটনায় তিন সদস্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশ অনুসারে পাঁচজনকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। এর আগে সোমবারই ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হামলার ঘটনায় সংগঠনটির পাঁচ নেতাকর্মীকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে জিয়া হল ছাত্রলীগ কর্মী সালমান সাদিককে। আর সাময়িক বহিষ্কৃত হন- বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মুরসালিন অনু, জিয়া হল ছাত্রলীগের কর্মী সাজ্জাদুল কবির, কাজী সিয়াম ও সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য জারিন দিয়া।পার্সটুডে