ছাতকে কৃষি বিভাগের কোটি টাকার সম্পত্তি বেহাত

    0
    199

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,১৬অক্টোবর,চান মিয়া, ছাতকঃ ছাতকের সাবেক ১২টি ইউনিয়নে কৃষি উন্নয়ন বিভাগের অর্থায়নে নির্মিত বীজাগারসহ কোটি টাকার ভূমি এখন সংশিষ্ট বিভাগের হাত ছাড়া হতে চলেছে। এসব বীজাগারগুলো সরকারী উদ্যোগে মেরামত ও সংস্কার করে উপ-সহকারি কৃষি অফিসারের (সাবেক ব্লক সুপারভাইজার) কার্যালয়ে রূপান্তর করলে জনসাধারণের দোরগোড়ায় সেবাসহ কৃষিক্ষেত্রে অর্জিত হবে অভাবিত সাফল্য এমন ধারনাই অভিজ্ঞ মহলের।

    জানা যায়, ১৯৬১সালে কৃষকদের কৃষি ক্ষেত্রে সূযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তৎকালীন সরকার প্রতি ইউনিয়নে একটি করে বীজাগার নির্মান করে। এসময় ছাতকের সাবেক ১২টি ইউনিয়নে প্রায় ১৬একর ভূমি খরিদ করে বীজাগার নির্মান করা হয়। এসব ভূমি রেজিষ্ট্রি কবালামূলে তৎকালীন কৃষি উন্নয়ন বিভাগের মহকুমা কৃষি অফিসার বিআর নিজামীর নামে খরিদ করা হয়। পরবর্তীতে নির্মিত বীজাগার গুলোয় সরকারী কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়লে প্রায় ৩যূগ থেকে ভবনগুলো পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

    এসূযোগে বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্মিত বীজাগারগুলো সংশিষ্ট বিভাগের হাত ছাড়া হয়ে গেছে। জানাগেছে, সাবেক খুরমা ইউনিয়নের চেচানবাজারে ১১একর ভূমি সহ বীজাগার, ছৈলা-আফজালাবাদ ইউপি, কালারুকা ইউপি, দেওকাপন ইউপি, ইসলামপুর ইউপি, জাউয়াবাজার ইউপি ও সৈদেরগাঁও ইউপি সংলগ্ন বীজাগার পরিত্যাক্ত হয়ে পড়েছে।

    ছাতক সদর ইউনিয়নে নির্মিত বীজাগার ১৯৭৩সালে সিলেট পাল্প এন্ড পেপার মিলের ভেতরে পড়ায় সেসময়ে এটি ভেঙ্গে দেয়া হয়। একইভাবে দোলারবাজার ইউপি’র বীজাগার নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়া সিংচাপইড় ইউপি’র আইনাকান্দি গ্রামে, ভাতগাঁও ইউপি’র হায়দরপুর গ্রামে ও নোয়ারাই ইউপি’র বেতুরা গ্রামের বীজাগার এখন জবরদখলে চলে গেছে।

    এসব পরিত্যাক্ত বীজাগারগুলো দখলমুক্ত ও সংস্কার করা হলে ইউনিয়ন ভিত্তিক বীজ ও সেচ সহ কৃষি যন্ত্রপাতি সংরক্ষন করা সহজ হবে। এতে করে ইউনিয়ন ভিত্তিক কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হবে এবং ইউনিয়ন কৃষি সুপারভাইজারদের ও সংশিষ্ট এলাকায় অবস্থানের সূযোগ সৃষ্টি হবে।

    উপজেলার প্রায় ১৬একর বীজাগারের জন্যে ক্রয়কৃত ভূমি দখলমুক্ত করে ভূমির উপর কোয়ার্টার নির্মান করে ইউনিয়ন কৃষি সুপাভাইজারদের বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।