ছাতকবাসী কুলাঙ্গার বদরুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান

    0
    292

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,০৫অক্টোবর,চান মিয়া, ছাতকঃ সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে খাদিজা বেগম নামের এক পরিক্ষার্থীকে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার পর আহত স্কুল ছাত্রী এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সোমবার সন্ত্রাসী বদরুল আলম কর্তৃক তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করলে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে সে এখন লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১০টায় এ রিপোর্ট লোখা পর্যন্ত আহত স্কুল ছাত্রীর অবস্থার কোন উন্নতি লক্ষ্য করা যায়নি।

    এ ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। ঘাতক দূর্বৃত্ত ছাতকের দক্ষিণ খুরমা ইউপির মনিরজ্ঞাতি গ্রামের দ্বীন মজুর সাইদুর রহমানের পুত্র। সে ছাতকের গোবিন্দগঞ্জস্থ আলহাজ্ব আয়াজুর রহমান হাইস্কুলের শিক্ষক বলে জানা গেছে। গত ৩সেপ্টেম্বর সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে এঘটনা ঘটে।

    জানা যায়, গত ২০১২সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের ঘোপাল এলাকায় একই স্কুল ছাত্রীর সাথে বখাটেপনা করতে গিয়ে সে এলাকাবাসীর গণধোলাইয়ের শিকার হয়। পরে প্রতারনার মাধ্যমে জামাত-শিবিরের হাতে গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানায়। এময় প্রতারনার মাধ্যমে সে আ’লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা ভোগ করেছে। বদরুল শাবির শিক্ষার্থী ও চলতি বছরের ৮মে’ অনুমোদিত শাবি ছাত্রলীগ কমিটির সহ-সম্পাদক। এঘটনার পর নিরাপত্তা জনিত কারনে এমসি কলেজে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করতে অনিহা প্রকাশ করছেন।

    খোজ নিয়ে জানা গেছে, দিনমজুর পরিবারেই বেড়ে ওঠে বখাটে বদরুল। ছোট বেলা থেকেই ছিল সন্ত্রাসী উশৃঙ্খল প্রকৃতির। আলহাজ্ব আয়াজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মখলিছুর রহমান জানান, যোগদানের পর মনিরজ্ঞাতি থেকে ওই শিক্ষক (খন্ডকালিন) স্কুলে আসা যাওয়া করতেন। ঘটনার দিনও স্কুল বন্ধ ছিল।

    এ লোমহর্ষক ঘটনাটি জানার পর স্কুল থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। ইউপি সদস্য সুহেল আহমদসহ স্থানীয় একাধিক লোকজনরা জানান, বখাটে বদরুল খাদিজার বাড়ি হাউশা গ্রামে লজিং থেকে শাবিতে লেখাপড়া করতো। এ সূযোগে খাদিজাকে প্রায়ই উত্যক্ত করে আসছিল। তার কুপ্রস্তাব সব সময়েই খাদিজা প্রত্যাখ্যান করলে সে হিংস্র হয়ে উঠে। পরিবারের লোকজন বিষয়টি জেনে চরিত্রহীন বদরুলকে এখান থেকে তাড়িয়ে দেন। এরপরেও সে খাদিজার পিছু ছাড়েনি। বিভিন্নভাবে তাকে প্রেম নিবেদন করে আসছিল। ৭ বছর গৃহ শিক্ষক থাকাকালে প্রত্যহ সে প্রেম নিবেদন করেছে। কিন্তু সাড়া না দেয়ায় সফির উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাস এলাকায় গিয়ে খাদিজাকে আবারো উত্যক্ত করা শুরু করে।

    এসব ঘটনায় একাধিকবার ঘোপালসহ বিভিন্ন এলাকায় তাকে গণধোলাই দেয়া হয়েছে। কিন্তু গায়ে ছাত্রলীগের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে সব সময়ই এসব ঘটনা ধাঁমাচাঁপা দেয়ার করে। বদরুল ৪ভাই ও একবোনের মধ্যে দ্বিতীয়। ৭/৮মাস আগে তার দিন মজুর পিতা মারা গেছেন। সে ছোট বেলা থেকেই একজন বখাটে প্রকৃতির লোক ছিল। তার চাচা ফজল উদ্দিন, মা ও চাচীসহ পরিবারের লোকজন বখাটে বদরুলের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করেছেন বলে জানান।

    দক্ষিণ খুরমা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।