পাপিয়ার আনাগোনা শুধু ঢাকা কিংবা তার আশে-পাশে নয়,তার অবাধ বিচরণ ছিল ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতেও। এই পাপিয়াকে অনেকবারই ফেনীর কুসুমবাগে দেখা গেছে। প্রধানত সম্রাটের প্রধানসহযোগী আরমানের সঙ্গেই তাকে সচরাচর দেখা গিয়েছে। আরমান নিজেও কিছু ছবি তৈরি করেছে। তার নির্মাণাধীন কয়েকটি ছবি আছে। এ সব ছবিতে অভিনয় করার জন্য মেয়েদের সর্বারাহ করতো এই পাপিয়া। আসলে অভিনয়ের কথা বলে এ সব মেয়েকে আনা হলেও অবুঝ ও সহজসরল মেয়েদেরকে বাধ্য করা হতো অবৈধ যৌনকর্মে। যেসব মেয়েরা আপত্তি করেছে তাদের উপর নেমে এসেছে অমানুবিক নির্যাতন।
কুসুমবাগ নামের এই বাড়ির মালিক বাবুল। সে কারমো ফোমের মালিক। সে একজন ধর্ণাঢ্য ব্যক্তি। বাড়িটিতে দারোয়ান ছাড়া কেউ থাকে না। তবে গত এক বছর থেকে এই বাড়িতে বিশেষ করে রাতের বেলায় লোকজনের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছিল। কারমো ফোমের মালিকের নিয়ন্ত্রণে বাড়িটি ছিল না। শেষের দিকে প্রভাবশালীরা তার অনুমতি ছাড়াই বাড়িতে বসবাস করতে শুরু করে। সম্রাট নিজেও এই বাড়িতে অবস্থান করেছিল। পাপিয়া, আরমানসহ আরো কিছু অল্প বয়সি মেয়েদের নিয়ে সেখানেই অবস্থান করেছে। আরমান ও পাপিয়া প্রায়ই এই বাড়িতে রাত কাটাতো। রাতে আসতো আবার সকালে ঢাকা চলে যেতো। বাবুল এসব ব্যাপারে যখন জান্তে পারে তখন তাকে প্রভাবশালীরা কঠোরভাবে হুমকি দেয়। এমনকি তার বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়ার হুমকিও দেয়া হয়েছিল। এই বাড়িটির অবস্থান ফেনীর সার্কেট হাউস থেকে এক কি.মিটারের মধ্যে। বাড়িটি ভিতরে বাইরে খুবই সুসজ্জিত। বড় লোকেরা এই জাতীয় বাড়িকে বাগানবাড়ি বলে থাকে। এই বাড়িতে পাপিয়ার অপকর্মের ঘটনা অনেকের জানা থাকলেও কেউ ভয়ে মুখ খুলতো না। এখন পাপিয়াকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। ফেনীর বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক প্রভাবশালী লোকের রহস্যময় ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
ঢাকা থেকে যে সকল প্রভাবশালী ব্যক্তি ফেনীর কুসুমবাগে পাপিয়ার সাথে যেতেন তাদের অনেকেরই অন্তরঙ্গ ছবি খুব শীঘ্রই হাজারিকা প্রতিদিনে প্রকাশ করা হবে। এদিকে কারমো ফোমের মালিক বাবুলের ফেসবুক প্রোফাইলে ঢুকলেই দেখা যায় অনেক প্রভাব শালীর ছবি। বাবুলের ফেসবুক আইডির নাম Mofizur Rahman Babul Cip.হাজারিকা