চ্যাম্পিয়ন হল গাজী ট্যাংক

    1
    280

    আমারসিলেট24ডটকম,৩০নভেম্বরঃ  চ্যাম্পিয়ন লেখা টি-শার্ট তৈরিই ছিল। ফরহাদ রেজা আউট হওয়া মাত্রই সেগুলো বিলিবণ্টন শুরু হয়ে গেল। ক্রিকেটাররা ড্রেসিংরুমের সামনে এসে সেই টি-শার্টগুলো পরে উৎসবে মেতে উঠলেন।গতবার অবশ্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভিক্টোরিয়া, এবার গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্স। নতুন দল শিরোপা জেতায় স্বভাবতই গতবারের অনেক ক্রিকেটারও সেই বিজয় উৎসবে নেই। তবে একজন ছিলেন তিনি হলেন, লুৎফর রহমান বাদল। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন ভিক্টোরিয়াকে। এবার দায়িত্ব নিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা এনে দেন গাজী ট্যাংককে। সত্যিই গত চার মৌসুমে সংগঠক লুৎফর রহমানের সাফল্য ঈর্ষণীয়। গত চার মৌসুমে তিনি তিনটি ভিন্ন ভিন্ন দলকে শিরোপা জিতিয়েছেন। ক্লাব এবং ক্রিকেটারদের ছাপিয়ে তিনিই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

    অলিখিত ফাইনালে পরিণত হওয়া লীগের শেষ ম্যাচে মুমিনুলের স্টাম্প উড়িয়ে দিয়ে জয় উৎসবটা সেরে ফেলেছিলেন গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্স অধিনায়ক মাহমুদুল্লা রিয়াদ। দল জয়ের পথে থাকায় মনটা সম্ভবত একটু বেশিই ভালো ছিল তার। সে জন্যই ভালো ইনিংসের বাহবা দিতে উদযাপন থামিয়ে দৌড়ে সীমানার কাছাকাছি এসে ধরেন মুমিনুলকে। ৮৬ রান করে বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পরই কার্যত প্রাইম দোলেশ্বরের শিরোপার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। শেষ দিকে ফরহাদ রেজা ৭৯ রানের মারমুখী ইনিংস খেললেও সেটা যথেষ্ট ছিল না। অবশ্য দোলেশ্বরের জয়ের আশা ফিকে হয়ে যায় প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যেই। প্রায় তিনশ’ ছুঁইছুঁই টার্গেট তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা পেসার রুবেল হোসেনের আউটসুইংয়ে ১০ রানের মধ্যেই উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আসেন দুই ওপেনার মেহেদী মারুফ ও জসুয়া কব। রনি তালুকদার কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু নাঈম জুনিয়রের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে মিডঅনে রিয়াদকে ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়ে আসেন।

    তরুণ এ স্পিনার গতকাল ভালোই ভুগিয়েছেন দোলেশ্বরকে। তাদের আরেক ইংলিশ ডাউইড মালান এবং সাবি্বর রুম্মনকেও বোল্ড করেন তিনি। ১০০ রানের আগেই দোলেশ্বরের ছয় উইকেট পড়ে গিয়েছিল। এরপরও সপ্তম উইকেটে মুমিনুল ও ফরহাদ রেজা ৭৫ রান যোগ করে খেলায় প্রাণ ফিরিয়ে এনেছিলেন। অষ্টম উইকেটে ফরহাদ রেজা ও সোহাগ গাজী ৫৭ রান যোগ করে কিছুটা ভীতি সৃষ্টি করেছিলেন গাজী ট্যাংক শিবিরে। কিন্তু ব্যান্ডপার্টি নিয়ে আসা গাজী সমর্থক শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়ে আনেন ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী পাক ক্রিকেটার আশার জায়িদি। তার স্পিনে আট রানের মধ্যে শেষ তিন উইকেট হারায় দোলেশ্বর।