চুনারুঘাট স্কুলে দেওয়ালে ভয়ংকর ফাটল চালে পুটো

    0
    285
    সামান্য বৃষ্টি হলেই অফিস কক্ষে আশ্রয় নিতে হয়  বিদ্যালয়ের সকল ছাত্রছাত্রীরা
    এস এম সুলতান খান চুনারুঘাট থেকেঃ  দেওয়ালে ভয়ংকর ফাটল তিনটি শ্রেণি কক্ষের সব কটারই চালে ফুটো সামান্য বৃষ্টি হলেই ক্লাস বর্জন করে বই খাতা নিয়ে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে আশ্রয় নিতে হয় শিক্ষার্থীদের। বাহির থেকে দেখলে মনে হয়না এটি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেখানে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে বাজেটে কোনো কৃপণতা করছে না সেখানে চুনারুঘাট উপজেলার পড়াঝার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি শ্রেণি কক্ষের চালেই রয়েছে ছোট বড় অনেক গুলো ফুটো। বৃষ্টির পানি বন্ধ করতে টিনের বদলে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশের তরজা। দেওয়ালের ফাটলের দিকে তাকালে ভয় লাগে হালকা ভূমিকম্পেই বুঝি ধসে পড়ে।
    উপজেলা জুড়ে যত গুলো প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে পড়াঝার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেন সব গুলোর চেয়ে ভিন্ন। এখানে ১১৮ জন শিক্ষার্থী ও ৫জন শিক্ষক থাকলেও এর পারিপার্শ্বিক আসয় বিষয় দেখার যেন কেহই নেই। এমনকি এখানে কোনো ম্যানেজিং কমিটিও নেই প্রায় গত ২ বছর ধরে। এডহক কমিটির মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে কাচুয়া ক্লাস্টারের আওতাধীন এ বিদ্যালয়টি।
    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জান্নাত আফরোজ বলেন, তিনি উক্ত বিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন এখনো ১ বছর হয়নি। গত ১৬ মার্চ তিনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা উল্লেখ করে তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। কাচুয়া ক্লাস্টারের দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খুরশেদ আলমের সাথে বিষয়টি নিয়ে ফোনে কথা বললে তিনি জানান, গত ১ মাস আগে তিনি দায়িত্ব গ্রহন করেছেন। এখনো তিনি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন নি। তবে, অচিরেই তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যালয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রমিজ উদ্দিন আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করে হলে তিনি বলেন,
    এ ব্যাপারে এর আগে কেউ তার সাথে যোগাযোগ করেনি। যেহেতু তিনি ব্যাপারটি জেনেছেন তিনি আজই বিদ্যালয়টি পরিদর্শন সাপেক্ষ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে যা করণীয় তা করার তার যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।
    বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়টির গৃহ সংস্কারের ব্যাপারে তার চেষ্টা রয়েছে।  ইতিমধ্যেই তিনি বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনার ৫০ হাজার টাকা ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে দিয়ে দিয়েছেন যা থেকে ফুটো টিন গুলো পাল্টিয়ে নিতেও বলে দিয়েছেন। উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জরুরি ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করার পরামর্শও দিয়েছন। স্থানীয় চেয়ারম্যানকে ইউনিয়ন পরিষদের ফান্ড থেকে বরাদ্দের সুপারিশও করেছেন। অচিরেই তিনি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে এর সকল সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবেন।