চুনারুঘাট সীমান্তে বর্ডার হাটের অনুমোদনঃঅতিঃ জেলা প্রশাসক

    0
    206

    প্রত্যাশিত স্বপ্ন পুরন হতে যাচ্ছে  চুনারুঘাটে উপজেলাবাসীর অনুমোদন পেল চুনারুঘাট সীমান্তে বর্ডার হাট। ৫০ টি করে দু’ দেশের থাকবে ১শ দোকান। স্থলবন্দর পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক

    এস এম সুলতান খান,চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) থেকেঃ  প্রত্যাশিত স্বপ্ন পুরন হতে যাচ্ছে  চুনারুঘাটে উপজেলাবাসীর অনুমোদন  পেল চুনারুঘাট সীমান্তে বর্ডার হাট। ৫০ টি করে দু’ দেশের থাকবে ১শ দোকান। ক্রেতা থাকবেন প্রতিদিন হাজার। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা-কেদারাকোট স্থলবন্দর পরিদর্শন কালে  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তারেখ মোহাম্মদ জাকারিয়া এ  কতাগুলোো বলেন। (২৪ আগস্ট) শনিবার দুপুরে তিনি জেলা-উপজেলা প্রশাসন, বর্ডার গার্ড বিজিবি, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বাল্লা-কেদারাকোট সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
    পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মঈন উদ্দিন ইকবাল, জেলা প্রশাসক কার্য্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সজিব চন্দ্র রুদ্র, কাস্টম ইন্সপেক্টর মোঃ জাহেদ মিয়া, বাল্লা সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার মোঃ সেলিম উদ্দিন, গাজীপুর ইউনিয়ন তাঁতীলীগের আহবায়ক ও বাল্লা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানী কারক কল্যাণ সমিতির সভাপতি জালাল উদ্দিন খান, গাজীপুর ইউনিয়ন তাঁতীলীগের সদস্য সচিব মোঃ শফিকুল আলম রণি, ব্যবসায়ী সদস্য জুয়েল মিয়া ও জেলা-উপজেলার সার্ভেয়ার সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
    এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, বর্তমান সরকার দেশের বন্দরগুলোর উন্নয়নে কাজ করছে। জমি অধিগ্রহনের কাজটি আমরা দ্রুত গতিতে শেষ করে দিচ্ছি। আমাদের কাজও প্রায় শেষের দিকে, খুব বেশি দিন সময় হয়ত লাগবেনা। মাস দেড়-দুই একের মধ্যেই জমি অধিগ্রহনের কাজটি শেষ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ওরাও যতেষ্ট কাজ এগিয়ে রেখেছে, এদেরও প্রকল্প প্রায় পাশ করা। আমরা যায়গাটা বুঝিয়ে দিলেই ওরা প্রকল্পের কাজ শুরু করে দিতে পাারবে।
    উল্লেখ্য, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা স্থলবন্দরটি ১৯৫১ সালে ৪.৩৭ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। এ স্থান দিয়ে বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য চলে আসছে। এখানে রয়েছে চেকপোস্টসহ সীমান্ত ঘাঁটি। বাল্লা স্থলবন্দরের স্থায়ী অবকাঠামো গড়ে উঠলে বন্দরটি দিয়ে প্রতি বছর প্রায় ২’শত কোটি টাকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে।
    এতে এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাওয়ার পাশাপাশি হাজার হাজার বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা সম্ভাবনাময় এ স্থলবন্দরটি বিগত ১৯৯১ সালে পুনরায় চালু হওয়ার পর এ বন্দর দিয়ে সিমেন্ট, ইট-পাথর, মাছসহ নানা পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। বিনিময়ে ভারত থেকে বিভিন্ন কাঁচামাল, ফলমূল, বাঁশ, চকলেট, ক্যান্ডি ইত্যাদি পণ্য আমদানি হচ্ছে। এছাড়া এ বন্দর দিয়ে লোকজনও বৈধভাবে পারাপার হচ্ছেন।