চুনারুঘাট শিক্ষা অফিসার ও সহকারী’র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

    1
    223

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৫এপ্রিল,ফারুক মিয়াঃ হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হাসান মোহাম্মদ জুনায়েদ ও অফিস সহকারী হালিমের ব্যাপক দুর্নীতি, অসদাচরণ ও শিক্ষা বিভাগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জুনায়েদ বদলি বাণিজ্য, স্লিপ কার্যক্রমে ঠিকাদারী, শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণসহ নানাবিদ অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    শিক্ষকদের বদলি ক্ষেত্রে জানা যায়, প্রতিটি বদলির জন্য নিরীহ শিক্ষকদের নিকট হতে অফিস সহকারী হালিমের মাধ্যমে নিজের অবস্থান দূরে রেখে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ব্যাপক নিয়মবর্হিভূত বদলি করেছেন।

    কল্পনা রানী, সহকারী শিক্ষক, গোড়ামী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কে ১ বছরের ভিতরে ২ বার নীতিমালা লংঘন করে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বদলির প্রস্তাব অনুমোদন করান যাহা সুস্পষ্ট নীতিমালা লংঘন। পৌরসভার বদলির ক্ষেত্রে হাজী ইয়াসিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্য পদে ২৫ বছর সিনিয়র সহকারী শিক্ষিকা নিশা রানীকে দরখাস্ত সুযোগ না দিয়ে গোপনে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ৫ বছরের জুনিয়র শিক্ষক সাজিদা আক্তার কে ১ দিনের ভিতরে বদলির অনুমোদন করেন। এ ব্যাপারে নিশা রানী উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করেন।

    আরেকজন কালেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকাকে দেড়িতে অফিসে আসলে তিনি বলেন বডি দেখানোর জন্য এখানে আসছেন। বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে ১০/১৫ মিনিট দেরীতে আসার জন্য নীতিমালা বর্হিভূত ভাবে ২৭ জনের ফেব্র“য়ারি মাসের বেতন বন্ধ রাখেন এবং মহিলা শিক্ষিকাদেরকে অকথ্য ভাষায় করেন উনার অফিসে হাজির করে। স্লিপ কার্যক্রম  ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের ১৬৬টি বিদ্যালয়ে প্রায় ২৭ লক্ষ টাকার গাজী টয়েস কোম্পানীর সাথে শিক্ষকদের শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়ে কোম্পানী হতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ঠিকাদারী বাবদ ব্যবসা করেন।

    মাসিক সমন্বয় সভায় তিনি জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষকদের সাথে পরামর্শ বা সমন্বয় করা উনার পক্ষে সম্ভব নয় অথচ সরকার সমন্বয় সভার কারণ হলো শিক্ষকদের পরামর্শ নেয়া।

    এ নিয়ে গত সভায় উনার সাথে শিক্ষক নেতাদের কথা কাটাকাটি হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, উনার অফিসে কিছুদিন পূর্বে উনার কর্কস বাজে আচরণে আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে হাতাহাতির পর্যায়ে চলে আসে। জানা যায়, শিক্ষা অফিসারের বিভিন্ন অনিয়ম টাইমস্কেল আটকে রাখা, অফিসে না থাকাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শতাধিক শিক্ষক/শিক্ষিকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে ও নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, ১ জন শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে প্রতিদিন ৭/৮টি নালিশ আমার নিকট আসে। কিভাবে তিনি শিক্ষা বিভাগ চালাবেন, এ ব্যাপারে নির্বাহী অফিসারের সহযোগিতা চান।

    উল্লেখ্য, শিক্ষা অফিসার নিজ প্রশাসনিক ক্ষমতাকে শিক্ষকদের উপর ব্যক্তিগত আক্রোসে প্রয়োগ করেন। প্রধান শিক্ষক, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সুপারিশ লংঘন করে নিজ ক্ষমতা বলে প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। উনার এহেন আচরণে ২ বছর চাকুরী জীবনে ৩ বার বদলি হয়েছেন।

    প্রাথমিক শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য শিক্ষা অফিসার হাসান মোহাম্মদ জুনায়েদ ও অফিস সহকারী হালিমের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন উপজেলাবাসীরা।