চুনারুঘাটে ২৩টি চা বাগান শ্রমিকদের সংবাদ সম্মেলন

0
671
চুনারুঘাটে ২৩টি চা বাগান শ্রমিকদের সংবাদ সম্মেলন
চুনারুঘাটে ২৩টি চা বাগান শ্রমিকদের সংবাদ সম্মেলন


এস এম সুলতান খান,চুনারুঘাট: নিম্নতম মুজুরী বোর্ড কতৃক চা শ্রমিকদের জন্য খসড়া সুপারিশ বাতিলের দাবীতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, মাধবপুর উপজেলার লস্করপুর ভ্যালীর ২৩ টি চা বাগানের  শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার ২২ জুন দুপুরে চুনারুঘাট উপজেলা চা শ্রমিক ইউনিয়ন কার্য্যালয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লস্করপুর ভ্যালীর সভাপতি রবিন্দ্র গৌর। এ সময় ভ্যালীর সেক্রেটারী অনুরুদ্ধ বাড়াইক ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ন- সম্পাদক নিপেন পাল। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যকালে শ্রমিক নেতারা বলেন , প্রকৃতপক্ষে চা শিল্পের বহুবছরের প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশের চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশের চা সংসদের প্রতি ২ বছর অন্তর অন্তর দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়। খসড়া চুক্তিতে উল্লেখ আছে, প্রতি ৩ বছর অন্তর অন্তর দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয় সেটা সঠিক নয়।

তারা আরো বলেন, প্রতি দুই বছর স্থলে জাগায় তিন বছর অন্তর অন্তর চুক্তি হলে শক্তিশালী মালিক পক্ষের দ্বারা অপেক্ষাকৃত মজুরি নির্ধারণের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কত তারিখে কার্যকর হয় কত তারিখ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে চুক্তি সম্পাদনের তারিখ বাংলাদেশের চা সংসদ ও শ্রমিক ইউনিয়ন আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে নির্ধারণ করে থাকেন। তবে বলা আছে, শিক্ষানীতির সুপারিশ চা বাগান সৃষ্টি লগ্ন থেকে তার সন্তানরা থেকে চা-বাগানে কাজের সংক্ষিপ্ত থাকে দেড়শ বছরের চা বাগান রীতি অনুযায়ী একজন স্থায়ী শ্রমিক যেকোনো কারণে অবসর হলে তার পরিবার বা নিকটস্থ আত্মীয়কে সঙ্গে সঙ্গে স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। তাই পূর্বের রিতি অনুযায়ী চা শ্রমিকদের শিক্ষা নিবাস কাল কোন সময় ছিল না আমরা এখনো চাইনা সুপারিশ অনুযায়ী মজুরী বৃদ্ধি বর্তমানে চা শ্রমিকরা ১২০ টাকা মজুরী পাচ্ছে তাছাড়া চা  ইউনিয়ন ২০১৯ সালে পহেলা জানুয়ারিতে ১২০ টাকা মজুরী কার্যকর করেছে। আমরা যাহা সঠিক পাচ্ছি এমতাবস্থায় আমরা আড়াই বছর যাবত আমরা যে ১২০টাকা মজুরী পাচ্ছি, সেই ১২০ টাকা আড়াই বছর পরে মজুরী বোর্ড কর্তৃক ঘোষণা করার কোন মানে হয় না।

কিন্তু বর্তমান বিশ্ব বাজারে খাদ্যদ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি থাকায় আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা শ্রমিকদের লেখাপড়া করা খুবই কষ্টকর হচ্ছে যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এ সময় তারা বিভিন্ন দাবী-দাওয়াসহ মজুরী বোর্ডের কাছে নিম্নতম ৩০০ টাকা মজুরী প্রদানের জন্য দাবী করেন। দাবী আদায় না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।