চুনারুঘাটে ২০ কিলোমিটার মহাসড়কের ১৫ স্থানে ভাঙ্গন

    0
    206

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,৩০এপ্রিল,হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মারাত্বক ঝুকিঁর মধ্যে রয়েছে পুরাতন ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ২০ কিলোমিটার অংশ। সড়কের চুনারুঘাট থেকে সাতছড়ি হয়ে সুরমা পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫টি স্থানে মারাত্বক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের কারণে এসব ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। পুনরায় বৃষ্টি হলেই সড়কটিতে যে কোন সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে চুনারুঘাটের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে মাধবপুর উপজেলার। এদিকে হবিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ উক্ত সড়কের ভাঙ্গনগুলো বল্লী ও বালিভর্ত্তি বস্তা দিয়ে সড়কটির বিভিন্ন অংশে মেরামতের মাধ্যমে রক্ষার চেষ্ঠা করছে।
    শুক্রবার সরজমিনে দেখা যায়, পুরাতন ঢাকা সিলেট মহাসড়কের চুনারুঘাট থেকে সাতছড়ি হয়ে সুরমা পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। কোন কোন স্থানে ভাঙ্গনগুলো বড় আকার ধারন করায় যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে। হবিগঞ্জ সড়ক বিভাগ লাল পতাকা দিয়ে সাবধানে চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। বিশেষ করে চন্ডিছড়া চা বাগান থেকে সাতছড়ি পর্যন্ত কমপক্ষে ১২টি স্থানে মারাত্বক ভাঙ্গন রয়েছে। এসব স্থানে সড়কের পাশে চা বাগান ও পাহাড়ী ছড়া ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হযেছে। পাহাড়ী ঢলের পানি এসে সড়কের প্রায় এক তৃতীয়াংশ নিচের থেকে বালি ও মাটি সরে গেছে। সড়কের রামগঙ্গা ছড়ার পানিতে অর্ধেক সড়ক ভেঙ্গে গেছে। কোন কোন স্থানে সওজের তৈরী দেয়াল ভেঙ্গে নিয়ে গেছে পাহাড়ী ঢল। গত সপ্তাহে অতিবৃষ্টির সময় রামগঙ্গা ও চন্ডিছড়ার মাঝে একটি ব্রীজ ভেঙ্গে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
    খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক সড়ক বিভাগ কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। পুনরায় বৃষ্টি হলেই পাহাড়ী ঢলের পানিতে এ ব্রীজের দুপাশে ভেঙ্গে যান চলাচল বন্ধ হতে যেতে পারে। একই ভাবে রামগঙ্গা থেকে সাতছড়ি পর্যন্ত আরো অসংখ্য স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোন কোন গর্ত ২০ থেকে ৩০ ফুট পর্যন্ত গভীর ও প্রসস্ত হয়েছে। ব্রীজের পাশে বালি ও মাটি সরে যাওয়ায় এ সড়কে গত দু বছরে তৈরী আরো ৫টি ব্রীজ হুমকির মধ্যে রয়েছে। পাহাড়ী ও চা বাগান এলাকায় তৈরী এসব ব্রীজের পাশে গত এক মাসের অতিবৃষ্টিতে মাটি সরে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মারাত্বক হুমকির মধ্যে রয়েছে এসব ব্রীজও। শনিবার সরজমিনে দেখা যায়, হবিগঞ্জ সড়ক ও জনপথের অর্থায়নে বস্তাভর্ত্তি বালি ও বল্লী দিয়ে ভাঙ্গা মেরামতের কাজ করছে ১০/১২ জন।
    শ্রমিকরা জানায়, হবিগঞ্জ সওজ’র ঠিকাদার তাদের দিয়ে এ কাজ করাচ্ছে। রাস্তাটি টিকিয়ে রাখতে তারা প্রাণপন চেষ্ঠা করছেন। ইতোমধ্যে তারা দুটি স্থানে মেরামত করেছেন বলেও জানান। আরো কমপক্ষে ৭/৮টি স্থানে তারা মেরামতের কাজ করবেন বলে জানান। তবে কাজের সময় কোন ঠিকাদারকে পাওয়া যায়নি।
    চন্ডিছড়া চা বাগানের সাবেক ইউপি সদস্য বিকাশ তাতী জানান, গত এক মাসের অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড়ী ঢলে সড়কের ব্রীজগুলোর পাশের মটি ও বালি সরে গেছে। কোন কোন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্ঠি হয়েছে। ফলে সড়ক এবং ব্রীজগুলো হুমকির মধ্যে রয়েছে।
    তিনি জানান, আবার বৃষ্টি হলে এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ ইতোমধ্যে পাহাড়ী ঢল অসংখ্য স্থানে সড়কের অর্ধেক ভেঙ্গে নিয়ে গেছে।