চুনারুঘাটে হাঁড় কাঁপানো শীতে দূর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষেরা

    0
    259

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৬জানুয়ারী,হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ পৌষের শুরুতেই ছিল হালকা হালকা গরম। গত দু’তিনদিন আগে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা সহ সারাদেশে মাঝারি থেকে বারিবর্ষণ হয়। এ বৃষ্টির পর পরেই শুরু হয়েছে ঘন ঘন শৈত্যপ্রবাহ। হঠাৎ এই শীতে দেখা দিয়ে শীতবাহিত বিভিন্ন রোগ ব্যাধি। গত দু’তিনদিনের হাঁড় কাঁপানো শীতের তীব্রতায় খেটে খাওয়া মানুষেরা চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। এ উপজেলা পাহাড়ি ঘেষা এলাকা। এই এলাকায় তুলনায় শীতের প্রকোপ এখানে একটু বেশিই দেখা যায়। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আর কুয়াশার কারণে বেলার প্রায় অর্ধেকটি সময় দেখা মিলছেনা সূর্যের।

    গত দু’তিনদিন ধরে সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় ঘন কুয়াশা। আর হিমেল বাতাসে নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছেনা সাধারণ মানুষ। উপজেলা সহ হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায়, দিনের বেলাতেও মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাফেরা করছে। রাতভর টুপটাপ শব্দে বৃষ্টির মত ঝরছে কুয়াশা। রাত ৮-৯ টার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট গুলো। শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রীজ পয়েন্টের সিএনজি চালক ইদ্রিস আলী, নূরুল ইসলাম, মনাফ মিয়া, মোশাইদ মিয়া, লালু মিয়া জানান, ঘন কুয়াশায়  রাস্তায় কিছু দেখা যায়না। এতো কুয়ারশার কারনে গাড়ি চালাতে অনেক কষ্ট হয় আমাদের। সেই সাথে এতো ঠান্ডার কারনে যাত্রিও পাওয়া যায়না। এভাবে যদি শীত থাকে তাহলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি। চুনারুঘাট পৌরশহরের মুদি ব্যবসায়ী
    সুভাষ পাল, অধীর পাল জানান, অনেক কুয়াশার কারনে হাটবাজারে মানুষের আনাগোনা কম ফলে আমাদের ডেইলী ইনকাম কমে যাচ্ছে। এই প্রচন্ড শীতে ও ঘন কুয়াশার কারনে কাজ করতে অসুবিধা হওয়ায় অনেকটা বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। বিপাকে পড়েছেন স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। পৌরশহরের চাস্টল ব্যবসায়ী আঃ রশীদ, মোঃ ফারুক, রামান্দ কর জানান, শীতের গরম চায়ের চাহিদা একটুক বেশী। সেই সাথে শীতে জড়ো-সড়ো হয়ে গেছে গবাদী পশুও। কেউ কেউ আবার খড়-কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে করছেন শীত নিবারণের চেষ্টা। পৌরশহরের ভিক্ষুকেরা জানিয়েছেন, ঠান্ডা নিবারণের জন্য বেশ কয়েকজন মিলে আগুনের সাহায্য নিয়ে কিছু সময়ের জন্য তাদের শরীরকে সান্তনা দিচ্ছে। কিন্তু শীত কি আর সেই সান্তানা মানে। হয়তো থাকবোনা আর বেঁচে, মারা যাবো। কারন এই শীতে থাকা অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। নেই শীতের ভালো কাপর।

    যদি সরকার আমাদের সাহায্য করে তাহলে হয়তো এই প্রখর শীতে একটু শান্তি পাবো। এমনি মন্তব্য করেছেন পৌরশহরের ভিক্ষা করে ফুটপাতের মোড়ে যাহারা দিনরাত যাপন করছেন তারা। চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাইজার মোহাম্মদ ফারাবি জানিয়েছেন, এ উপজেলাতে শীত বেশিই থাকে। কারণ পাহাড়ি ঘেষা এলাকা। তাই আগের থেকেই এ উপজেলাতে শীত বস্ত্র মজুত রয়েছে। এবং অসহায়, দরিদ্র মানুষ ও বৃদ্ধ মানুষদের শীত বস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।