আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৬অক্টোবর,হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার উলুকান্দি গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জের সালিশ বৈঠকে দু’পক্ষের সংঘর্ষে এক জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নারীসহ আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৫ জন। ১৫ অক্টোবর রোববার রাত ৮টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি উলুকান্দি গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর পুত্র তাহির মিয়া (৪০)। এ ঘটনায় আহত ৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল ও বাকিদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই গ্রামের আব্দুল আজিজ মিয়ার পুত্র ছমেদ মিয়ার সাথে একই এলাকার আব্দুল আলীর পুত্র ফয়সল মিয়ার জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। রোববার বিকেল ৩টায় আব্দুল আলীর বাড়িতে উক্ত বিরোধের সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সময় জবানবন্দি দেয়ার সময় দু’পক্ষের লোকজন বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সন্ধ্যার পর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়।
স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রজব আলীসহ স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাহির মিয়া (৪০), ফরহাদ (৫০), কাউছার আহমেদ (২২), তাউছ মিয়া (২৬), লিটন (৩৫), মিজান (১৮), রেজিয়া বেগম (৪০), এখলাছ মিয়া (১৮), ছমেদ মিয়া (৫০), ফয়সল আহমেদ (২৫), মিল্লাদকে (১৬) সদর হাসপাতাল ভর্তি করেন।
এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতে তাহির মিয়া, কাউছার আহমেদ, তাউছ মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে তাহির মিয়া মারা যান।
এদিকে, সকালে তাহির মিয়ার মৃত্যু সংবাদটি তাহির মিয়ার লোকজনের মধ্যে পৌঁছালে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
ফের সংঘর্ষ এড়াতে সহকারী পুলিশ সুপার মাধবপুর সার্কেল রাজু আহমেদ, চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজমিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
সহকারী পুলিশ সুপার রাজু আহমেদ জানান, নিহতের সংবাদ আসার পর থেকে পুরুষশুন্য হয়ে পরে গ্রাম। শুন্য বাড়ি-ঘরে যেন কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়ছে। সোমবার দুপুর ১টায় ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে।
