চুনারুঘাটে সহকারী শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    0
    669
    চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা: চুনারুঘাটে প্রধান দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে উপজেলা সহকারী  শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে রফাদফার অভিযোগে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্কুল কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ জমসিদ আলী। এ নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ সর্বত্র আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই বলছেন রক নাকি বক।
    অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার রাণীগাঁও ইউনিয়নস্থ গরমছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক শিবলু মিয়া দীর্ঘদিন যাবত অনুপস্থিত ও সরকার প্রদত্ত (ঝখওচ) এর স্কুল উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিগত ২৬/০৪/১৮ইং, ০৪/০৬/১৮ইং তারিখে সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক তাহমিনা খাতুন, জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, হবিগঞ্জ বরাবরে স্কুল কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ জমসিদ আলী স্বাক্ষরিত স্কুল প্রধান শিক শিবলু মিয়ার দুর্নীতি ও আত্মসাতের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন।
    অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলামের নিকট উক্ত প্রধান শিকের দুর্নীতি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
    গত ০৩/০৯/২০১৮ইং তারিখে সহকারী শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম প্রধান শিক্ষক শিবলুর বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দেন। রফিকুল ইসলামের তদন্তে নাকুশ হয়ে বিদ্যালয় কমিটির সহ-সভাপতি জমসিদ আলী পুনরায় সহকারী শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্তে ঘুষ গ্রহণ করে রফাদফার অভিযোগ এনে গত ৩১/০৩/২০১৯ইং তারিখে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে অপর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
    তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন প্রধান শিক্ষক শিবলুর দুর্নীতি তদন্তকে ধামাচাপা দিতে রফিকুল ইসলাম ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে তিনিও দুর্নীর আশ্রয় নিয়েছেন। তাই পুনরায় তদন্ত পূর্বক ওই সমস্ত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও শিক্ষক এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
    এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলামের ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন তার তদন্তে  সত্য যা পেয়েছেন তার উপর তিনি প্রতিবেদন দিয়েছেন।