চুনারুঘাটে মামুন হত্যার বছর পেরিয়ে গেলেও ৮আসামী অধরা

    0
    420

    স্টাফ রিপোর্টারঃচুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের কেউন্দা গ্রামের মীর নূর আহাম্মদ ওরফে সিরাজ মিয়ার পুত্র মামুন মিয়া (১৬) কে হত্যার ঘটনায় তার বাবা নিরীহ কৃষক মীর নূর আহম্মদ বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    সম্প্রতি মামলার বিবরণে জানা যায়, কিশোর মামুন হত্যার ১ বছর পেরিয়ে গেলেও পুলিশ হত্যা মামলার পলাতক ৮ আসামীকে এখনও ধরতে পারেনি। মামুন হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত পলাতক ৮ আসামীরা হলেন- উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের কেউন্দা গ্রামের মৃত আঃ নূর ওরফে কনা মিয়ার পুত্র প্রধান আসামী সবুজ মিয়া (৩৫), মৃত মিছির উদ্দিনের পুত্র ফজলু মিয়া (৪০), মৃত আব্দুর রুশনের পুত্র দুলাল মিয়া (৪০), মৃত আঃ রেজ্জাকের পুত্র ফজলে আহাম্মদ ওরফে বাচ্চু মিয়া (৬৭), মৃত আঃ মতিনের পুত্র আরজু মিয়া (৫০), মৃত জহুর হোসেনের পুত্র ভিংরাজ মিয়া (৪২), মৃত আঃ রেজ্জাকের মেয়ে মোছাঃ রাজিয়া বেগম (৬৫), শাইলগাছ গ্রামের মৃত আঃ মন্নাফের পুত্র নূরুল হক (৪৫)।

    উল্লেখ্য যে, গত বছরের ২৪ জুলাই সোমবার সকাল অনুমান ৮টায় কেউন্দা গ্রামের ছুরুক মিয়ার পুকুর পাড় থেকে কিশোর মামুন মিয়ার লাশ উদ্ধার করে চুনারুঘাট থানা পুলিশ।

    এ ব্যাপারে মামুন মিয়ার পিতা নূর আহম্মদ ওরফে সিরাজ মিয়া ওই দিন রাতে ১৬ জনকে আসামী করে চুনারুঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানার জি.আর মামলা নং- ৩৭, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৭/৩০ তৎসহ ৩০২/২০১/৩৪ দঃ বিঃ।

    মামুন মিয়া হত্যার ১ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও পুলিশ পলাতক ৮ আসামীকে গ্রেফতার করতে পারে নি ? এ নিয়ে মামলার বাদী নূর আহম্মদ প্রতিদিনই হবিগঞ্জ ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে পলাতক ৭ আসামীদেরকে গ্রেফতার করার জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি ডিবি শাহ আলমকে তাগিদ দিলেও এখন পর্যন্ত ৭ পলাতক আসামী ধরা ছোয়ার বাহিরে।

    এ নিয়ে কেউন্দা এলাকার সাধারণ মানুষের জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ? নিহত মামুন মিয়ার পরিবারের কান্নার হাহাজারি এখন পর্যন্তও থেমে নেই। মামলার বাদী মীর নূর আহাম্মদ ও তার পরিবার পলাতক আসামীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করছেন।

    নিহত মামুন মিয়ার পিতা অসহায় দরিদ্র কৃষিক মীর নূর আহাম্মদ তার পুত্র হত্যার সুবিচার পাওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।