চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: প্রতিষ্টার দুই দশকেও ময়লা আবর্জনার আধুনিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভায়। প্রথম শ্রেনীর এই পৌরসভার ময়লা ফেলার র্নিদিষ্ট কোন জায়গা না থাকায় শহরের পাশেই মরা খোয়াই নদীর ব্রীজের দু’পাড়ের সড়কে ফেলা হচ্ছে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা।
এতে সড়কের পাশে তৈরী হচ্ছে ময়লার ভাগাড়। আবার ময়লার ভাগাড়ে আগুন দেয়ায় ধোঁয়ায় আশপাশের মানুষ স্বাসকষ্টে ভূগছে। এসব স্থানের দুর্গন্ধ সঙ্গী করেই মধ্য বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্টানে, বাসাবাড়িতে ছড়িয়ে পড়েছে ময়লার দুর্গন্ধ।
সরজমিন সোমবার (৩১ জানুম্বার ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় লোকজন জানান, পৌর সভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ডিসিপি হাই স্কুল সংলগ্ন ব্রীজের দু’পাড়ে ও মুক্তিযোদ্ধা ভবন সংলগ্ন মরা খোয়াই নদীর উপর ব্রীজের দু’পাড়ের সড়কে ময়লা-আর্বজনা ফেলছে পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা। তারা গভীর রাতে পৌরসভার গাড়ি দিয়ে ময়লা ফেলছে।
প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে রেমা-কালেঙ্গা, রাণীগাঁও, সুন্দরপুর. মিরাশী, নালমূখ, বাসুল্লা, একডালাসহ উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ পৌর শহরে যাতায়াত করেন। কয়েকশ যানবাহন চলে এ সড়ক দিয়ে। এ সড়ক দিয়ে ডিসিপি হাই স্কুরের শতশত ছাত্র/ছাত্রী আসা যাওয়া করে। পৌরসভা প্রতিষ্টার পর থেকেই মরা খোয়াই নদীর উপর সড়কের ব্রীজের দু’পাশে ময়লা ফেলা হচ্ছে। পৌরসভার ময়লায় নদী ভড়াট হচ্ছে। পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সড়ক দিয়ে চলাচলকারীদের হাত দিয়ে নাক ঢেকে স্থান অতিক্রম করতে হচ্ছে। আশপাশের বিভিন্ন দোকানপাট, বাসা বাড়ির লোকজনকে র্দুগন্ধের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ময়লা পুড়া ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে বাড়িতে। বাড়ির বয়স্ক মানুষ, শিশুরা শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ময়লা আর্বজনার বিষাক্ত ধোঁয়ায় মানুষের শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি এমননি ফুসফুসে ক্যান্সার হতে পারে। বিশেষ করে শিশুরা শ্বাসকষ্টে দ্রুত আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।
মেয়র সাইফুল আলম রুবেল বলেন, “পৌরসভার কোন ময়লা এখানে ফেলা হয়না। কারা ফেলছে ধরিয়ে দিলে ব্যবস্থা নিব।“
চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, “জরুরী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মেয়রকে বলব।“