আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৭ডিসেম্বর,চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের হরিণমারা গ্রামের আব্দুল আউয়ালের স্ত্রী আলেয়া আক্তার (৩০) কে ভূয়া ডাক্তারের অপচিকিৎসায় ৩ সন্তানের জননী গৃহবধু আলেয়া মৃত্যুপথযাত্রী।
জানা যায়, গত সোমবার দুপুরের দিকে হরিণামারা আউয়াল মিয়ার নিজ বসতবাড়িতে আলেয়া খাতুন অসুস্থ হলে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে ডাঃ মোঃ জিতু মিয়া প্রাথমিক চিকিৎসায় স্যালাইন পুস করলে প্রায় ঘন্টা খানেক পর আলেয়া খাতুনের অবস্থা আশংকাজনক হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ওই এলাকার দিনমজুরী আলেয়া খাতুনের স্বামী আঃ আউয়াল মিয়া কাজ থেকে এসে খবর পেয়ে তার স্ত্রী অবস্থা আশংকাজনক দেখে আশপাশের লোকজনদের নিয়ে আলেয়া খাতুনকে গুরুতর অবস্থায় চুনারুঘাট হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আলেয়া আক্তারকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে হাসপাতালের ডাক্তার আলেয়া আক্তারের অবস্থা দেখে চিকিৎসা দেন।
এ ব্যাপারে আলেয়া খাতুনের বিভিন্ন রিপোর্টে দেখা যায় তার ৫ মাসের অন্তঃস্বত্তা নষ্ট হয়ে যায় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। এ ব্যাপারে ডাক্তাররা আলেয়া আক্তারের স্বামী আউয়াল মিয়াকে জিজ্ঞাস করলে তিনি জানান, তার স্ত্রী আলেয়া আক্তার গর্ভবতী অবস্থায় তার শরীরে জ্বর থাকা অবস্থায় ছিল।
ভূয়া ডাক্তার জিতু মিয়া এ ব্যাপারে বার বার আলাপ করলেও সে বলে নাকি স্যালাইন দিলে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবে এবং গর্ভও নষ্ট হবে না। ভূয়া ডাক্তার জিতু মিয়া উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের হিমালিয়া গ্রামের মৃত জাহির মিয়ার পুত্র। ভূয়া ডাক্তার জিতু মিয়া হিরণমারা বাজারের বকুল দোকানে ফার্মেসী দিয়ে অপচিকিৎসা চালিয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে আলেয়া খাতুনের স্বামী ভূয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।