চুনারুঘাটে প্রতারকের সাথে বিবাহ পন্ড করে অন্যের সাথে সম্পন্ন

    0
    349

    চুনারুঘাট(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভার উত্তর আমকান্দি গ্রামের হাজী আঃ আওয়াল এর বড় কন্যা মোছাঃ শামসুন্নাহার বাপ্পীর সাথে প্রতারক বিবাহিত মোঃ মামুনুর রশীদের সাথে বিবাহ পন্ড করে অন্য পাত্রের সাথে বিবাহ সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতারক মামুনুর রশীদ উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের গোবিন্দ পুর গ্রামের মোঃ আব্দুল হাই এর পুত্র। মোছাঃ শামসুন্নাহার বাপ্পী উদ্ভিদ বিদ্যা ২০১৩-১৪ সেশনে বিএস সি অনার্স পাশ করে পাইকপাড়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

    পাওয়া তথ্য মতে, অজান্তে মোছাঃ শামসুন্নাহার বাপ্পীর পিতা হাজী আঃ আওয়াল প্রতারক মামুনুর রশীদের সাথে বিবাহের সিদ্ধান্ত নেয়। হঠাৎ মামুনুর রশীদের স্ত্রী শাহানাজ পারভীন জানতে পারেন মামুনুর রশীদের বিবাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তৎক্ষণাৎ বিভিন্ন মাধ্যমে খবর নিয়ে সদ্য বিবাহ ঠিক হওয়া কন্যা মোছাঃ শামসুন্নাহার বাপ্পীর পরিবারের নিকটে এবিষয়ে অবগত করা হয়। এবিষয়টি জানতে পেরে মামুনুর রশীদ মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। তারপর আর যোগাযোগ রাখেনি।

    মামুনুর রশীদের স্ত্রী শাহানাজ পারভীন সাংবাদিকদের জানান, ১ এপ্রিল ২০১৬ ইং সনে তাদের বিবাহ হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। শাহানাজ পারভীনের পিতার বাড়ি ১/গ বড়বাগ, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬। তিনি সেখানেই থাকেন। তিনি আরোও জানান, মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে স্ত্রী শাহানাজ পারভীন আইনি সহায়তায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রচেষ্টায় রয়েছেন।

    এবিষয়ে শামসুন্নাহার বাপ্পীর পিতা হাজী আঃ আওয়াল জানিয়েছেন, মামুনুর রশীদ আমাদের সাথে প্রতারণা করে আমার কন্যাকে বিবাহ করতে চেয়েছিলেন। আজ ১লা মে বুধবার ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিবাহের সিদ্ধান্ত হয়। মামুনুর রশীদের প্রতারণার বিষয়টি আমরা জানতে পেরে ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন ও গোবিন্দপুরের মেম্বার ফরিদ মিয়াসহ স্থানীয় মুরুব্বিদের নিয়ে বিবাহ পন্ড করেছি। তিনি আরোও জানান, ১লা মে বুধবার বাদ জোহর কনের নিজ পিত্রালয়ে রানীগাও ইউনিয়নের পারকুল গ্রামের বাসিন্দা মৃত আঃ সাত্তার এর সুযোগ্য পুত্র শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক এম এ (বি এ অনার্স) মোঃ চুনু মিয়ার সাথে শুভ বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে।